প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২১, ২৩:৫৩
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবনের গেটে যারা লাথি মেরেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিয়েছে? প্রশ্ন তুলেছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, এত বড় বড় কাহিনী ধরতে পারেন, অথচ এই ঘটনায় কোন এ্যাকশন নিতে পারেন না? যারা হামলা চালিয়েছে তারা কারা? মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় কালীবাড়ি রোডের সেরনিয়াবাত ভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম ট্রাস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে প্রতিমন্ত্রীর বাসভবনে হামলার ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে মহানগর আওয়ামী লীগের বক্তব্য তুলে ধরেন প্রচার সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া।
এসময় মেয়র আরো বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমরা বরিশালকে শান্তিতে রাখতে চাই। এতেদিন শান্তিতে রেখেছি সামনেও ইনশাল্লাহ রাখবো। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ থাকবে যারা এই ধরণের কর্মকা- করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করুন। অন্যথায় আমরা বাধ্য হবো এই ধরণের কর্মকান্ড প্রতিহত করার। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা উপস্থিত ছিল তা আমাদের বলার প্রয়োজন নেই। ভিডিও ফুটেজ আছে। তাদের গ্রেফতার করেন না কেন?
মেয়র বলেন, বর্তমান সরকারের একজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের দলের লোকের বাসার গেটে যারা লাথি মেরেছেন, যারা সেখানে সংঘংর্ষে লিপ্ত হন তারাতো দলের কেউ না। তারা শিক্ষক মারধরকারী। এরা অবৈধভাবে কাজ বাগিয়ে নিতে চায়, অবৈধভাবে লাভভাবন হতে চায়। অথচ স্থানীয় সংবাদপত্রে খবর বেড়িয়েছে হামলাকারীরা ছাত্রলীগ-যুবলীগ। কিন্তু মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি নেই। যুবলীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান করোনার কারনে বরিশাল আসতে না পারায় হয়নি। আওয়ামী লীগের কেউ যদি হতো তাহলে আমাদের জিজ্ঞেস করতেন। কিন্তু সেসব না করে বলে দেওয়া হলো ছাত্রলীগ-যুবলীগ।
হামলাকারীদের ভিডিও দেখিয়ে মেয়র বলেন, এইসব নোংরামী এখানে চলবে না। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন জিরো টলারেন্স নীতি। সেটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমার ভাইও যদি হয়, অপরাধি অপরাধি-ই। সে কোন দলের হতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানান মেয়র।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে নগরীর নবগ্রাম রোড পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের সাংসদ কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীমের বাসা বেগম ভিলার সামনে তার অনুসারী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গেটের সামনে দাড়িয়ে ধূমপান করতে নিষেধ করা নিয়ে দ্বন্দ্বে এই ঘটনা ঘটে। এতে একজন যুবলীগ কর্মী আহত হন। যদিও ঘটনার চারদিন পরেও থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি কেউ।