প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২১, ২১:২১
প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর সরবরাহ করা এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছে। ভোক্তাপর্যায়ে যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহের জন্য এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সঙ্কটের কারণে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) আমদানির কথা ভাবছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।
বিপিসি জানায়, কক্সবাজারের মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রে এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এটির কাজ শেষ হলে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩০০ টাকা কমে যাবে। বর্তমানে বেসরকারিভাবে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে এলপিজি আমদানি করা হচ্ছে।এলপিজি অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলওএবি) বলছে, বর্তমানে দেশে ৩.৮ মিলিয়ন এলপিজি গ্রাহক রয়েছে এবং বেসরকারি খাত চাহিদার ৯৮% পূরণ করছে।
কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম বলেন, “ভোক্তাদের উপযুক্ত মূল্যে পণ্য পাওয়ার মৌলিক অধিকার রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পেট্রোলিয়াম পণ্যের ন্যায্যমূল্য নেওয়া হচ্ছে না। ভোক্তাদের একটি যুক্তিসঙ্গত মূল্যে এলপিজি সরবরাহের এই পদক্ষেপ এবং এর উদ্দেশ্যকে আমরা সাধুবাদ জানাই।”
এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, “সাশ্রয়ী মূল্যে এলপিজি ভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত। তাই যদি পাইকারি সরবরাহ সরকারের অধীনে থাকে তবে খুচরা পর্যায়েও মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) দাম নির্ধারণ করলেও ব্যবসায়ীরা সেটি মানছে না। জ্বালানি তেলের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে আমদানি করা হলে সরকার এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। কিন্তু দেশের ব্যবসায়ীরা সেক্টরটিকে তাদের হাতে রাখতে চায় এবং বিভিন্নভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিরোধিতা করছে।”
বিপিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে প্রায় ১১ লাখ টন এলপিজি ব্যবহার করা হয়েছে। এক দশকে দেশে এলপিজির ব্যবহার প্রতি বছর গড়ে ৩৫% বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে চাহিদা প্রায় ৭৮ লাখ টন হবে। প্রায় ২০ টি বেসরকারি কোম্পানি স্থানীয় এলপিজি মার্কেটে ৯৫%-এর বেশি মার্কেট শেয়ার নিয়ে আধিপত্য বিস্তার করছে।
প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর সরবরাহ করা এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছে। ভোক্তাপর্যায়ে যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়।একটি ১২ কেজি প্রাইভেট এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯৩ টাকা। এটি সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হলেও গ্রাহক পর্যায়ে এই দাম আরও বাড়িয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম আরও ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন।