প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২১, ৫:৫
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ঘটনায় আনারুল (৫০) নামক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।ধর্ষণের শিকার পূজা (১৩) উপজেলার নিমদীঘি বাজারের বিনয় পাহানের মেয়ে। সে নিমদীঘি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর বেলহট্টি গ্রামে বড় বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ির ফেরার জন্য বিকালে ভ্যানযোগে রওনা হয় ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভ্যানচালক তাকে বিভিন্ন রাস্তায় নেওয়ার পথে শনিবার ( ২৪জুলাই) সন্ধ্যার দিকে নিয়ামতপুর উপজেলা ৬নং ইউনিয়নের বান্দইল নামক স্থানে আম বাগানে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
পূজার বাবা বিনয় কুমার বলেন, আমার ছোট মেয়েকে পাষন্ডরা যে অবস্থা করেছে তা পশুর চেয়েও খারাপ করেছে। আমি এর কঠিন শাস্তি চাই। আমি থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।পূজা বলেন, আমি ২০ দিন যাবত আমার চাচার শশুর বাড়ি শিবপুর বেলহট্টি গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার পথে শনিবার দুপুরে ভ্যানচালক আনারুলের গাড়িতে উঠি। সে আমাকে বাড়ির পথে না নিয়ে গিয়ে পথে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রতিবাদ করলে তাকে আশ্বস্ত করা হয় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আমাকে পাঁড়ইল ইউনিয়নের বান্দইল নামক এক আম বাগানে নিয়ে গিয়ে ভ্যানচালক আনারুলসহ আরও দুজন আমাকে ধর্ষণ করে। আমি টয়লেট সারার বাহানা দিয়ে রাস্তার পাশে এক লোককে ঘটনা বললে তিনি থানায় ফোন করেন। এর পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। কিন্তুক্ষনে ভ্যানচালক আনারুলসহ আরও দুই জন পালিয়ে যায়।
নিয়ামতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহিম জানান, খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পূজাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।নিয়ামতপুর থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ধর্ষনের প্রাথমিক আলামত পেয়েছি। আনারুল নামের একজনকে আজ দুপুরে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বাঁকিদেরও আটকের চেষ্টা অব্যহত আছে।