প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২১, ১:৫৬
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেশের সর্ববৃহৎ দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এক যৌনকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত যৌনকর্মীর নাম রেহেনা বেগম (৪৪)। আহত অবস্থায় তিনি গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানান।
এ ঘটনায় যৌনকর্মীদের সংগঠন 'অসহায় নারী ঐক্য কল্যাণ সমিতির' সভানেত্রী ঝুমুর বেগম, ছলে বাড়িওয়ালী, লিলি বাড়িওয়ালী, আলেয়া বাড়িওয়ালী, দুলালী ও পারভিনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রেহেনা বেগম।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেহেনা বেগম বুধবার দুপুরে জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে তাকে তার ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায় ঝুমুর বেগমের লোকজন।
তারা তাকে অসহায় নারী ঐক্য কল্যাণ সমিতির কক্ষে আটকে লাঠি দিয়ে মারপিট করে। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে গেলে জখমের স্থানসহ তার গোপনাঙ্গে শুকনো মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়।
বেশ কয়েক ঘণ্টা পর তারা আমাকে ছেড়ে দিয়ে গৃহবন্দী করে রাখে। সোমবার প্রায় সারাদিন ঘরে বন্দী থেকে সন্ধ্যার পর সুযোগ বুঝে পালিয়ে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দেই। পরে মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হই।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নিতাই কুমার ঘোষ বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ২০-২২ বছরের একটি যুবতী মেয়ে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
রেহেনা বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসার জন্য তাকে এন্টিবায়োটিক ঔষুধ দেয়া হলে সে বুধবারে সুস্থতা অনুভব করে সে নিজের ইচ্ছায় বুধবার দুপুরে রিলিজ নিয়ে বাড়ী ফিরে যায়।
তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ঝুমুর বেগম বলেন, রেহেনা একইসঙ্গে ঢাকার সাভারের এক লোক ও স্থানীয় আরেকজন লোকের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকের সঙ্গে প্রায়ই তার ঝামেলা হয়।
সোমবার রাতেও তাদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে সে কিছুটা আহত হয়ে থাকতে পারে।এছাড়া রেহেনা পল্লীর একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার অপরাধের জন্য সে জেল খেটেছে। তার বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ওপর সে অনেক জুলুম করে বলে তারা নিজেরাই তার বাড়ি ছেড়েছে। সে পরিকল্পিতভাবে অন্য কারও ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, রেহেনা বেগম সহ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।