প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ২০:৩০
কক্সবাজারের টেকনাফের উপকূল থেকে ভাসমান অবস্থায় মালয়েশিয়াগামী ৩০ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
২৭ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার বড় ডেইল সৈকত থেকে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়। রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ছাড়াও ২০ নারী ও ৫ শিশু রয়েছে । এ সময় পাচারে জড়িত ট্রলারটিও জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার আমিরুল হক সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা গত ২৩ এপ্রিল বাহারছড়া মেরিন ড্রাইভ এলাকার বড়ডেল ঘাট থেকে একটি নৌকায় করে মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। অতঃপর গত ২৫ এপ্রিল রাতে সমুদ্রে অবস্থানকালীন সময় তারা ডাকাতদের করলে পড়ে, এসময় ডাকাতদল তাদের মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় এবং নৌকার ইঞ্জিনটি বিকল করে দেয়।
এরপর নৌকাটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সমুদ্রে ভাসতে থাকে। এই খবরের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশান বাহারছড়ার উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং রোহিঙ্গাদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা জানান, দালালের মাধ্যমে তারা মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল। তবে প্রকৃত দালালের নাম তারা কেউ বলতে পারে নি। উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবসন কমিশনারের সাথে সমন্বয় করে স্ব স্ব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে জানা যায়, মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য টেকনাফ, ও উখিয়ার উপকূলের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট নৌকাযোগে ট্রলারে উঠে একাধিক শিবিরের অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা। গত সোমবার রাতে এসব রোহিঙ্গাদের নিয়ে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় একটি ট্রলার। রাতে এদিক ওদিক ট্রলার চালিয়ে ডাকাত দল পিছু নিয়েছে এমন কথা বলে এক পর্যায়ে মাঝি ট্রলারটি ভিড়িয়ে দেয়। এরপর প্রায় ১৫/২০ জন পুরুষ সটকে পড়ে।
রোহিঙ্গা বোঝাই ট্র্রলার ভেড়ার খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩০ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড।
অপরদিকে বাহারছড়া উপকূল দিয়ে রওয়ানা হলেও ট্রলারটি ডাকাতের কবলে পরে বলে জানান রোহিঙ্গা আরোহীরা। তবে অন্য একটি সুত্র বলছে মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে দালাল চক্র টাকা হজম করতে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ডাকাত আতংক ছড়িয়ে বড় ডেইল উপকূলে ভিড়িয়ে দেয়া হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান উদ্ধার হওয়া ৩০ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সেই সাথে দালাল চিহ্নিত না হওয়ায় এ বিষয়ে মামলা নাও হতে পারে। তবে পুলিশ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দালাল চক্র চিহ্নিত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১