প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৫৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
হঠাৎ তীব্র গরমে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) যেন নেতিয়ে পড়েছে পুরো রাজবাড়ী জেলা সহ গোয়ালন্দ উপজেলা। গোয়ালন্দে সর্বত্রই প্রচণ্ড তাপদাহে দুর্বিসহ হয়ে ওঠে জনজীবন। দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া দাবদাহে হাঁসফাঁস নাগরিক জীবন। সকাল থেকেই গরম হাওয়া।
রোদের তেজ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে গরমের তীব্রতাও। ঘরে-বাইরে কোথাও কোনো স্বস্তি ছিল না। বিশেষ করে গরমে সবচেয়ে বেশি কাতর হয়ে পড়ে শিশু ও বৃদ্ধরা। এমন গরমে গোয়ালন্দে নেতিয়ে পড়ে প্রকৃতি, গাছ-গুল্ম-লতাও।
জানাযায়, তাপমাত্রা সামান্য কমলেও বিরাজমান তাপপ্রবাহ দেশজুড়ে অব্যাহত রয়েছে। দেশের সব বিভাগে এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাথেও গোয়ালন্দে রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গোয়ালন্দ উপজেলার চর বালিয়াকান্দি গ্রামের বাবলু নামের এক কৃষক বলেন, বৃষ্টির অভাবে মাঠের মৌসুমি ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন আল্লাহ্ পাকই জানে কবে বৃষ্টি নামবে।
জিয়া সেক নামের এক রিক্সা চালক বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম আর রোদের কারণে রিক্সা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে লকডাউনের কারনে তেমন যাত্রীও মিলছে না। তারপরও পেটের দায়ে রিক্সা চালাচ্ছি।
ছয় ঋতুর দেশে এখন চলছে শরৎকাল। তবে এবারের ঋতুগুলোর আচরণ ছিলো একটু ভিন্নন। প্রথম রোজা থেকেই বাড়তে শুরু করে তাপমাত্রা।
এদিকে, মঙ্গলবারের তীব্র গরমে গোয়ালন্দ উপজেলাতে রোদের তাপ থেকে বাঁচতে সবাই খুঁজেছেন একটু ছায়ার আশ্রয়। সবচেয়ে বিপদে ছিলেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রচুর খরতাপ আর গরম থেকে একটু রক্ষা পেতে বিভিন্ন ছায়াধার ও গাছের ছায়ায় আশ্রয় খুঁজে চলেছেন দিনমজুর ও রিকশাচালকেরা। খুব জরুরি না হলে বের হয়নি কেউ ঘরের বাইরে। যেসব কর্মজীবি মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়েছেন, তারাও অতিরিক্ত গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমে গোয়ালন্দের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাই এই প্রখর রোদ্রের তাপে বেশী অতিষ্ঠ হচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ। তাই গরমের মধ্যে সুস্থ থাকতে সবাইকে স্যালাইনের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ পরিষ্কার খাবার পানি, ডাবের পানি সহ ঠাণ্ডা স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এই চিকিৎসক।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১