মোঃ শাহিন হাওলাদার যার পিতা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল হক হাওলাদার। তিনি ছিলেন একজন মানুষ গড়ার কারিগর। সাতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতা পেশার মাধ্যমে জীবন শুরু করেন। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেন। তারপর তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং মোঃ ফজলুল হক হাওলাদার দীর্ঘদিন অত্যন্ত সুনামের সহিত সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবত সাতলা ইউনিয়নের সভাপতি ও উজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উজিরপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মোঃ ফজলুল হক হাওলাদার তার জীবদ্দশায় অসংখ্য ভালো কাজ করেছেন বিধায় সাতলা ইউনিয়নের প্রতিটি আপামর জনগণ তার ভালোবাসায় আজও সিক্ত এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
মোঃ ফজলুল হক হাওলাদার এর সুযোগ্য পুত্র মোঃ শাহিন হাওলাদার বরিশাল সরকারী বি এম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে সুনামের সহিত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। মোঃ শাহিন হাওলাদার ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় মোঃ শাহিন হাওলাদার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উজিরপুর উপজেলা শাখার সদস্য নির্বাচিত হয়ে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত সুনাম ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেন।
মোঃ শাহিন হাওলাদার তার বাবার মৃত্যুর পরে সাতলা ইউনিয়নের রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি সাতলা ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের সুখ-দুঃখ নিজের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন।একটি অবহেলিত অনুন্নত সাতলা ইউনিয়নকে কিছুটা হলেও উন্নয়নের জন্য বরিশাল-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোঃ শাহে আলম ভাইয়ের দ্বারস্থ হয়ে উন্নয়নের জন্য লেগে থাকেন।
গতবছর সারাদেশ যখন মহামারী করোনার আঘাতে বিপর্যস্ত সারাদেশ যখন লকডাউন এ আবদ্ধ তখন মোঃ শাহিন হাওলাদার সাতলার প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে ছুটে যান এবং তিনি তার সাধ্যমত এবং অন্যের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে কর্মহীন মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন।
এরপর ২০২১ সালের মার্চ মাসে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে মোঃ শাহিন হাওলাদার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড এর সভাপতি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দক্ষিণ বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সুপারিশে মোঃ শাহিন হাওলাদার কে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেন।
তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ায় তিনি দক্ষিণ বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি জনাব আলহাজ্ব আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস,মাননীয় সাংসদ জনাব মোঃ শাহে আলম, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদেক আব্দুল্লাহ, যুব রত্ন সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ, এফবিসিসিআই এর সম্মানিত পরিচালক সেরনিয়াবাত মঈন আব্দুল্লাহ,
উজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি এসএম জামাল হোসেন, বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক জনাব গিয়াস উদ্দিন বেপারী, উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মজিদ শিকদার বাচ্চু এবং বিশেষ করে সাতলার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব আবিদ আল হাসানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বর্তমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় উক্ত নির্বাচন আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। ঠিক গত বছরের ন্যায় মোঃ শাহিন হাওলাদার এই বর্তমান সময়ে চলমান লক ডাউন এর কারণে সাতলা ইউনিয়নের যে সমস্ত মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে তাদের খোজ খবর নিচ্ছেন, সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতা করছেন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক,হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সকলকে উদ্বুদ্ধ করছেন।
সরজমিনে গিয়ে অত্র এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে যেটা জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কর্তৃক মোঃ শাহিন হাওলাদার কে মনোনয়ন দেওয়ায় সাতলা ইউনিয়নের প্রতিটি শ্রেণি পেশার মানুষ অত্যন্ত আনন্দিত এবং তারা তাদের পক্ষ থেকে জন নেত্রী শেখ হাসিনা এবং দক্ষিণ বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের একটি কথা মোঃ শাহিন হাওলাদার একজন সৎ যোগ্য এবং সুশিক্ষিত ছেলে। মোঃ শাহিন হাওলাদার যদি নির্বাচিত হয়ে সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান তবে সাতলা ইউনিয়ন পরিষদ অনেক বছর পরে একজন উচ্চ শিক্ষিত চেয়ারম্যান পাবে।
বর্তমান সময়ে একটি দায়িত্বশীল আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই'। মোঃ শাহিন হাওলাদার তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন সাতলা ইউনিয়নের প্রতিটি জনগণ আমার বাবা মোঃ ফজলুল হক হাওলাদার কে যে ভালোবাসা দিয়েছেন এবং আমাদের পরিবারকে যেভাবে ভালোবেসেছেন সেই সাতলা ইউনিয়ন থেকে আমার পাওয়ার কিছু নেই। সাতলা ইউনিয়নের জন্য এখন আমার কিছু করার দায় বদ্ধতা রয়েছে।
সাতলা ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের ভালবাসার ঋণ আমাকে শোধ করতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে আমি সাতলার প্রতিটি শ্রেণি পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি মাদক মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত,শিক্ষিত দখলদারিত্ব মুক্ত মডেল সাতলা নির্মাণ করতে চাই। আমি আমার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমি আপনাদের খেদমত করে যাব।আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
#ইনিউজ৭১/এনএইচএস/২০২১