প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২১, ১৬:১২
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাদুকাটা নদীতে কোয়ারি তৈরী করে বালি-পাথর উত্তোলন করায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসময় ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর ও ৪০ হাজার ঘনফুট বালি জব্দ করা হয়। পরে সন্ধ্যায় উন্মুক্ত নিলাম ডেকে বিক্রি করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ মার্চ)উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহের নেতৃত্বে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যাদুকাটা নদীতে এ অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স।টাস্কফোর্সের অভিযানে এসময় সাথে ছিলেন, সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসের পরিদর্শক মাঈদুল ইসলাম, র্যাব-৯ (সিপিসি-৩) সুনামগঞ্জের ডিএডি মোঃ জাহিদুল ইসলাম, তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ তরফদার, লাউড়েরগড় বিওপি'র হাবিলদার মোহাম্মদ আব্দুর রহিমসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের জাদুকাটা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু পাথর খেকুচক্ররা নদীতে কোয়ারি তৈরী করে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বালু ও পাথর নদীর পাড়ে ষ্টক করে রাখে। উত্তোলিত বালি-পাথরের সংবাদের বিত্তিত্বে টাস্কফোর্সে বুধবার দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর ও ৪০ হাজার ঘনফুট বালি জব্দ করে। পরে জব্দ কৃত বালু ও পাথর উন্মুক্ত নিলামে তোলা হলে ব্যবসায়ীরা ও স্থানীয়রা অংশ নেন।
উন্মুক্ত নিলামে অংশ নিয়ে প্রতি ঘনফুট পাথর ৫২ টাকা এবং বালি প্রতি ঘনফুট ১৩ টাকা দরে কিনে নেন স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাঈদ এবং জাকির হোসেন। সরকারি ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ পাথরের মূল্য আসে ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং বালি ৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকার।সন্ধ্যার জব্দকৃত বালি পাথর উন্মুক্ত নিলাম প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এদিকে,স্থানীয় সচেতন মহলে টাস্কফোর্স অভিযানকে স্বাগতম জানিয়েছেন। তারা এমন ভাবে আরও জাদুকাটা নদীতে আরও যত বালু ও পাথর আছে তা জব্দ করার উদ্দেশ্য অভিযান চালানো জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। এর ফলে এই এলাকার বালু খেকু চক্রটি আর মাথাচড়া দিয়ে উঠতে সাহস পাবে না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানান, জাদুকাটা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তোলন করা বালি-পাথর টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে জব্দ করে। পরে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে তা বিক্রি করা হয়েছে। কোন অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। সকল অনিয়ম কঠোর হাতে দমন করা হবে।