প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২১, ১৭:১৪
শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও সাবেক পিপি এ্যাড. হাবিবুর রহমান ও তার ভাই যুবলীগ নেতা মনির হোসেন মুন্সি হত্যা মামলায় অসন্তোষ প্রকাশ করে একদিনের জন্য সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রম ও অনির্দিষ্ট কালের জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রাজজ শওকত হোসেনের কোর্ট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতি।
মঙ্গলবার ২৩ মার্চ সকাল ১১ টায় শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সাধারণ সভায় এই বিচারিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু সাইদ, জেলা ও দায়রাজজ আদালতে পিপি মির্জা হযরত আলী, নিহত এ্যাড. হাবিবুর রহমানের ছেলে এপিপি এ্যাড. পারভেজ রহমান জন প্রমুখ।
আদালত বর্জনের বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. জহিরুল ইসলাম বলেন, আপনারা জানেন গত ২১ তারিখে শরীয়তপুর জেলায় এ্যাড. হাবিবুর রহমান ও তার ভাই মনির হোসেন মুন্সী হত্যা মামলার রায় প্রকাশ হয়েছে। সেই রায় শরীয়তপুর জেলা আইনজীবীসহ সর্বস্তরের জনগণ হতাশ, ব্যথিত, ক্ষুব্ধ।
আমরা আশা করেছিলাম এই রায়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে কিন্তু তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। একজন জাজমেন্টের লম এবং ফম সম্পূর্ণভাবে উনি উপেক্ষা করেছেন। আবার দেখেছি কিছু কিছু আসামিদের যারা কম্পারেটিভলি অল্প অভিযোগে অভিযুক্ত তাদেরকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে আমরা জানি উনি রায় দিতে পারেন কিন্তু রায় সম্পর্কে কোন ধরনের বক্তব্য দেওয়ার অধিকার আমার নেই। রায়ের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী আমরা আপিল করবো সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু এই রায় প্রচার এর পূর্বে অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ মহোদয় এই মামলায় আসামিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে মোটা অংকের টাকা সংগ্রহ করেছে ।
অর্থের বিনিময় যে রায় দিয়েছে সেটা আমরা মানতে পারিনা, দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে যে রায় দিয়েছে সেটা আমরা মানতে পারিনা। তার প্রতিবাদে আজকে জেলা আইনজীবী সমিতি সকলে কোর্টে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এবং অ্যাডিশনাল ইনস্টিনাল কোট আমরা সম্পূর্ণভাবে বয়কট করেছি। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রাজজ শওকত হোসেন থাকা পর্যন্ত উনার কোর্টে আমরা বিচারকার্য পরিচালনা করতে যাব না ।
পাশাপাশি ওনার বিরুদ্ধে আমরা রেজুলেশন নিয়েছি। সেই রেজুলেশন টি আমরা মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সরকারি সকল ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পৌছে দেব। উনার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ৬৪টি জেলার ৬৪টি বার কাউন্সিলরে জানিয়ে দিব।আমরা আশা করবো, আমরা সরকারের কাছে নিবেদন করব,
আমরা আইন মন্ত্রণালয় কাছে নির্বাচন করব, আমরা সুপ্রিমকোর্টের কাছে নিবেদন করব যাতে করে এই মোঃ শওকত হোসেনের মত এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ, তিনি হোল ডিস্ট্রিক্ট চেয়ার টার গুরুত্ব ও মর্যাদা হারিয়ে ফেলেছেন। যাতে করে কখনোই তিনি আর এই চেয়ারটা না পান সেই মর্মে আমরা মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে বিনীত ভাবে নিবেদন করব।