প্রকাশ: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:১৬
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিস্তৃর্ণ জমিতে এখন আলুু উত্তোলন আর জমিতে মজুদ করার চিত্র দেখা যায়। আলুর বীজ রোপন থেকে শুরু করে উত্তোলন পর্যন্ত কৃষকের যেন ব্যস্ততার শেষ নেই । উল্লাপাড়া উপজেলার খাদ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত চলনবিল অধ্যাষিত এলাকা হিসেবে রয়েছে উধুনিয়া ইউনিয়ন,পাঙ্গাসী ইউনিয়ন, মোহনপুর ইউনিয়ন।
এছাড়াও উপজেলার প্রায় এলাকায় আলুর চাষ হয়ে থাকে। এসব ইউনিয়ের ভিবিন্ন এলাকা জুড়ে এখন শুরু হয়েছে আলু উত্তোলনের কাজ। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে কৃষক সাথে কৃষাণীরাও। এসময় কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায় আলুর
বাম্পার ফলন হওয়া সত্বেও দাম কম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। যেমন ফলন হয়েছে তেমন যদি বাজারে দাম পেত তাইলে কৃষকরা লাভবান হতো। বাংলাদেশের খাদ্যের তালিকায় আলু প্রধান সবজী হওয়া সত্বেও এবারে বাজারে আলুর দাম খুবই কম।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,গত মৌসুমে উপজেলায় ৯০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছিলো,যার আবাদ হয়েছিলো ৯৫০ হেক্টর জমিতে।এবারে চলতি মৌসুমে উল্লাপাড়া উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবং আবাদ ও হয়েছে ৯৫০ হেক্টর জমিতেই। এবারে উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার মেট্রিকটন।
উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ শাহজাহান আলী বলেন,এবারে আমি ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরে আলু খুবই ভালে হয়েছে। ক্ষেত থেকে যখন আলু যখন উঠাই তখন ফলন দেখে খুব খুশি লাগে। কিন্তুু আলু নিয়ে যখন বাজারে যাই ব্যাপারীরা ফিরেও তাকাচ্ছে না। দু’একবার তাকালেও যে দাম বলছে তাতে আমরা কৃষকরা হতাশ।
আলু রোপনের সময় যখন বীজ ক্রয় করেছি তখন ৪২ টাকা কেজি আমাদের বীজ কিনতে হয়েছে। আর সেই আলু এখন বাজারে ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা কেজি যার একমন আলু ৪০০ টাকা থেকে ৪৪০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে কৃষকদের লাভের আশা তো দূরের কথা উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কমকর্তা আজমল হক বলেন,প্রতিবছরের চেয়ে এবছরের আলুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তবে বাজরে এখন দাম কম তাই কৃষকরা হতাশায় দিন পার করছেন। তবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমরা কৃষকদের আলু তাদের বাড়ীতে মজুদ রাখার নানা পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করা যায় ১৫ দিন থেকে ১ মাসের মধ্যে আলুর দাম বৃদ্ধি হবে।