প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২১, ২১:২
ঢাকার ধামরাইয়ে আওয়ামী মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাইয়ে যৌথ মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। তিন জন আওয়ামী প্রার্থীর মধ্যে যার যতো বেশি লোক সংখ্যা তিনি ততো এগিয়ে থাকবেন। আর তাই বেশি লোকজন দেখাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজহার আলী ও মোঃ আবদুল লতিফ দুজনেরই বেশিরভাগ লোকজনই বিভিন্ন ইটভাটা ও বহিরাগত।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে ধামরাই ২০ আসনের সাংসদ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদর ডাকে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই মাঠে এ যৌথ জনসভার আয়োজন করা হয়।
এসময় যৌথসভায় তিন রংয়ের টুপি (ক্যাপ) পরিহিত লোকজন জনপ্রিয়তা প্রমানে দলে দলে মাঠে প্রবেশ করতে থাকে। হলুদ টুপি পরিহিত জনগণ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন, সবুজ টুপি পরিহিত জনগণ বর্তমান চেয়ারম্যান আজহার আলীর ও লাল টুপি পরিহিত জনগণ আব্দুল লতিফের পক্ষে মাঠে সমাবেত হতে থাকেন।
তবে বর্তমান চেয়ারম্যান আজহার আলী ও নব্য প্রার্থী আব্দুল লতিফ তাদের জনপ্রিয়তা প্রমানে আশুলিয়া ও সোমভাগ ইউনিয়নের বাইরে থেকে ছোট ছোট বাস, ট্রাকে করে লোক ভাড়া করে আনার প্রমান পাওয়া গেছে। এমনকি ইটভাটা ও বিভিন্ন কারখানার লোকজনকেও ভাড়া করে আনা হয়েছে এ সভায়।
সভায় আসা ধামরাইয়ের জলসিন এলাকার মা ব্রিকসের কয়েক জন শ্রমিক জানায়, আমরা প্রায় ৩০ জন এক সাথে এখানে এসেছি। তাদের মাথায় বর্তমান চেয়ারম্যান আজহার আলীর সবুজ রঙ্গের ক্যাপ ছিলো। এবং তারা সবাই নাটোর জেলার।
এছাড়াও সোমভাগ ইউনিয়নের বাইরে থেকে ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকাসহ নীলফামারী, সাতক্ষীরা জেলার লোকজনও টাকার বিনিময়ে এ সভায় আনা হয়েছে।
যৌথ জনসভা শেষে ধামরাই ২০ আসনের সাংসদ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ বলেন, তিন জনের জনপ্রিয়তা দেখেছি। প্রধানমন্ত্রী যাকে দেবেন তার হয়েই সবাই কাজ করবেন। আমরা তিন প্রার্থীকে একত্রিত করে পাল উড়িয়ে দেবো। তাহলেই নৌকাকে কেউ ঠেকাতে পারবেনা।
তিনি আরও বরেন, বিএনপির কোন প্রার্থী এখানে নেই। তারা দেশে কোন কাজ করে নাই। তারা এখন নালিশ পার্টিতে পরিনত হয়েছে।