প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৫৮
তীব্র শীত হানা দিয়েছে আশাশুনির নদীপারের জেলে পল্লীতে।বেশ কিছু দিন ধরে মাছ ধরতে পারছে না তারা।ফলে দূর্বিসহ জীবন যাপন করছেন এসব মৎস্য পরিবারের সদস্যরা।
আশাশুনি উপজেলার চার ধার দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ,বেতনা,খোলপেটুয়া,মরিচ্চাপ নদী।এসব নদী গুলো আর স্বাভাবিক পর্যায়ে নেই।নদী খাদকদের কারনে নদী গুলো এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে।এসব নদীর ধারে বসবাস করে জেলে সম্প্রদায়ের শত শত পরিবার।প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে।বাপ দাদার ভিটে মাটি হারিয়ে অনেক পরিবার এখন নিঃস্ব।
অরেকে মাতৃভ’মি ত্যাগ করে এলাকা ছেড়ে শহর কিংবা অন্যত্র চলে গেছে।অনেক পরিবারের লোকজন নাড়ির টানে ভেড়িবাঁধ অথবা পতিত জমিতে আশ্রয় নিয়েছে।এসব আশ্রিত অধিকাংশ পরিবারের এসব নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।প্রবল শীতের কারনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।টানা শীতের কারনে মাছ শিকারীদের দূভোগ বেড়েছে।আলোকবিহীন দিন আর কুয়াশার কারনে ঢাকা পড়ে রাত।বৈরি পরিবেশে আশাশুনির জেলে পল্লীতে মাছ আহরীদের কষ্টের যেন শেষ নেই।সারা রাত নদীর বুকে নৌকা বয়ে তারা জাল দিয়ে বিভিন্ন জাতের মাছ ধরে।
সকাল হওয়ার সাথে সাথে ঐ মাছ এলাকার বিভিন্ন হাট বাজারে বা পাইকারি আড়তে নিয়ে যায়।মাছ বিক্রির টাকায় চলে তাদের সংসার।কিন্ত প্রচন্ড শীতের কারনে জেরেদের মুখে হাসি নেই।পরিবার পরিজন নিয়ে পড়েছে মহা সংকটে।নেই কোন সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা।
কোন কারনে মাছ ধরতে না পারলে সেদিন উপোস থাকতে হয়।দেখা গেছে জেলে নৌকাগুলি ঘাটে নিরাপদ স্থানে রাখা রয়েছে।কুয়াশার কারনে রাতের বেলায় নদীতে নৌকা চালানো যায় না।নদীর গতিপথ নির্নয় করতে বাঁধার মুখে পড়তে হয়।
আশাশুনির ভোলা,বিশ^ জানান অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে তারা কয়েকদিন নদীতে মাছ ধরতে পারছে না।অলস সময় পার করছেন।ধারদেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে।আশাশুনির বৃহত্তম মহস্য বাজার মহেশ^রকাটি মাছের সেটের আড়তদার বিকাশ চন্দ্র বাছাড় জানান,শীতের কারনে জেলেদের পক্ষে নদী ও ঘের থেকে মাছ ধরা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাজারে মাছের আমদানিও কমে গেছে।