প্রকাশ: ৫ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৫০
বরিশালের বাবুগঞ্জে কমিটি চেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন না করে উপজেলার ত্যাগী ছাত্রনেতৃবৃন্দ সহ সহস্রাধীক কর্মীরা নিজ নিজ ফেসবুক আইডির প্রোফাইল পিকচারে “কমিটি চাই” লিখে ব্যাকগ্রাউন্ডে কালো রং জুড়ে দিয়েছে।
৩ জানুয়ারি থেকে একই সাথে সবাই নিজ নিজ আইডির মাধ্যমে এই ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বরিশালসহ সারাদেশে গত ৪ জানুয়ারী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হলেও প্রায় ১৭ বছর যাবৎ কমিটি না হওয়ায় ছাত্রলীগের আদর্শে বেড়ে উঠা উদ্বিগ্ন কর্মীরা কমিটির দাবিতে আন্দোলনমুখী হয়ে উঠে।
এ ধরণের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদে বরিশালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের নিজ উপজেলা বাবুগঞ্জে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর ধরে ছাত্রলীগের কোন কমিটি নেই।জানা গেছে, পদ প্রত্যাশী প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসলেও নতুন কমিটি না হওয়ায় অনেকেই ঝড়ে পড়ছে।
ফলে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে না এই উপজেলায়। পরিচয়হীন ছাত্ররাজনীতি থেকে অনেকেই ঘরমুখী হচ্ছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু-সুফিয়ান বলেন, ২০০৩ সালে বাবুগঞ্জ ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে তৎকালীন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মিলন ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে আক্তার-উজ জামান মিলন মৃধাকে সভাপতি ও মোঃ রোমানকে সাধারণ সস্পাদক করে ২ বছর মেয়াদী উপজেলা ছাত্রলীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এরপর প্রায় ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন কমিটি গঠন করা হয়নি। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নেতাদের দিয়ে চলছে দলের কার্যক্রম। গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রোগ্রামে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে কমিটি প্রসংঙ্গে পদ প্রত্যাশীরা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী ইমদাদুল হক দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক সরদার খালেদ হোসেন স্বপনের দারস্থ হলে তারা দলীয় বর্ধীত সভা ডেকে বিষয়টি সমাধান করার আশ^াস দেন।
দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলায় ১৭ বছর ধরে কোন সম্মেলন না হওয়ায় সাধারণ ছাত্র নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতি নেতৃত্বহীন হয়ে পড়েছে। ফলে সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ছে। পদ পাওয়ার আশায় শীর্ষ নেতাদের কাছে ধরনা দিতে দিতে হতাশ হয়ে পড়েছে অনেক ছাত্রনেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করছি। তবে প্রত্যেকটি সংগঠনকেই শক্তিশালী করতে হলে অবশ্যই সংগঠনের ভীত মজবুত থাকতে হবে।
আর এটা কেবলমাত্র একটি পুর্ণাঙ্গ কমিটিই করতে পারে। তারা আরো বলেন, আমাদের গর্ব কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বাবুগঞ্জের কৃর্তি সন্তান। দেশের সবচেয়ে বড় সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি তিনি। অথচ তার উপজেলায় দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের কমিটি না থাকাটা বেমানান বৈকি।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাবুগঞ্জ ছাত্রলীগের কমিটি আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনের ব্যাপারে তিনি বলেন, সেটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।