নওগাঁর ধামইরহাট বনবিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন সিধাতৈল মৌজার দুর্গম এলাকার ৫০ একর জমিতে বনায়ন কার্যক্রম শুরু করেছেন ধামইরহাট বনবিভাগ। উপজেলা সদর থেকে ৬০ কিলোমিটার রাস্তা প্রতিদিন গিয়ে পতœীতলা উপজেলার আমাইর ইউনিয়নের বনবিভাগের ফাকা মাঠে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আলোকে এই বনায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আর এই বনায়নে দুরদর্শী ভূমিকা রেখেছেন ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। খরা মৌসুমে শ্যালো মেশিন দিনে সেচ কার্য সম্পাদন সহ প্রতিদিন সংশ্লিষ্টদের সাথে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
জানা গেছে, ‘সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষায় ২০২১-২২ আর্থিক সনে স্বল্পমেয়াদী ২০ হেক্টর উডলট বাগান সৃজন প্রকল্প’র আওতায় পাইকবান্দা রেঞ্জের অধীন ধামইরহাট বন বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন পতœীতলা উপজেলার সিধাতৈল মৌজার ফাঁকা জমিতে স্থানীয় সিধাতৈল, বশকৈল ও সিধাতৈল আশ্রয়ন কেন্দ্রে বসবাসকারীদের সহযোগিতায় ৫০ একর সামাজিক বনায়ন করা হয়। দুর্গম এই বিশাল মাঠে বনায়ন কার্যক্রম ইতোমধ্যেই বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা পরিদর্শণ করেছেন, এবং ধামইরহাট বনবিভাগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, ‘সিধাতৈল মৌজায় বনবিভাগের এই গেজেটভুক্ত জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে ফাকা অবস্থায় পড়ে ছিল, বিশাল এই মাঠটি যাতে কেউ জবর দখল করতে না পারে সে লক্ষে গত ১৪ জানুয়ারী হতে বনবিভাগের এই জমিতে আকাশমনি, জারুল, হিজল, জাম, অর্জুন, মেনজিয়াম, চিকরাশি সহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫০ হাজার গাছের চারা রোপন করা হচ্ছে। স্থানীয় উপকারভোগীদের পরিচর্যায় এই বাগানটি এই এলাকার দরিদ্র বিমোচনে ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করছি।
পাইকবান্দা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা একে.এম ফরহাদ জাহান জানান,‘যোগদানের মাত্র দুই মাসের মধ্যেই ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা পড়ে থাকা জমিতে বন বাগান সৃজন করে যে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, নিঃসন্দেহে তা প্রশংসনীয়। সরকারী ও জনস্বার্থে সৃজিত এই বাগান প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও স্থানীয় উপকারভোগীদের জীবন মান উন্নয়ন করবে।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।