শেখ হাসিনার অব্যাহত বক্তব্যের কারণেই ছাত্র-জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, শেখ হাসিনার বক্তব্য যেন অস্থিরতা সৃষ্টি না করে, সে বিষয়ে ভারতকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বারবার অনুরোধের পরও ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দিতে বাধা দেয়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ চালানো হচ্ছে। ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভাঙচুরের সময় সেনাবাহিনী উপস্থিত ছিল এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। তবে ছাত্র-জনতার ক্ষোভ দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। শেখ হাসিনার বক্তব্যই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে ভারতীয় কোম্পানি আদানির সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি জানান, এটি বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হয়নি। দেশের স্বার্থকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, যা কূটনৈতিকভাবে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
গত ছয় মাসে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা জটিল অবস্থায় রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ভারতের সঙ্গে নানা ইস্যুতে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও প্রকট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা সফর করবেন বলে জানিয়েছেন তৌহিদ হোসেন। বাংলাদেশের লক্ষ্য হলো, আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করে কূটনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনার ভারত-নির্ভরতা ও বিতর্কিত বক্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করছে। সরকার বিষয়টি কীভাবে সামাল দেবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার ভূমিকা ও ভারতের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। বাংলাদেশ কি চাপে পড়ছে, নাকি নতুন কূটনৈতিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে, সেটি সময়ই বলে দেবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।