বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী ৭ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওইদিন রাত ১০টায় কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।
এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি হলো অত্যাধুনিক এয়ারবাস এ-৩১৯, যা রোগীর চিকিৎসার জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ। এই বিমানে রয়েছে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, আইসিইউ সুবিধা, এবং অত্যন্ত দক্ষ চিকিৎসক ও নার্স। এটি রোগীকে দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রা করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে সক্ষম।
এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে রয়েছে ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, মনিটর, ইনফিউশন পাম্পসহ জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম। আইসিইউ সুবিধা থাকায় যেকোনো সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে রোগীকে স্থিতিশীল রাখা সম্ভব। এই বিশেষ বিমানে কাতারের চারজন চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্স এবং বাংলাদেশের মেডিকেল বোর্ডের ছয় সদস্য, যারা খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা সেবা দেবেন, উপস্থিত থাকবেন।
বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তার পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন বিএনপি নেতা সফর করবেন। তার সাথে থাকবেন ছোট ছেলে সৈয়দা শর্মিল রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল এবং একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার।
বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত থাকবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা, যাদের তত্ত্বাবধানে তিনি লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। এই বিশেষ বিমানটি অত্যাধুনিক এবং বিশ্বাসযোগ্য, যা দ্রুতগামী এবং সুসজ্জিত, যা খালেদা জিয়াকে নিরাপদ এবং আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করবে।
এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের খরচ সাধারণত বিভিন্ন বিষয় নির্ভর করে, যেমন বিমানের দূরত্ব, রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থা, এবং accompanying ব্যক্তির সংখ্যা। তবে, এ ধরনের বিশেষ বিমান পরিষেবাগুলি সাধারণত উচ্চ খরচের মধ্যে পড়ে, যা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বহন করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।