শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলার ঘটনায় ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৩৫ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলার ঘটনায় ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার একটি গ্রাফিতি মুছে ফেলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছেন। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে মিছিল করে এ দাবি জানানো হয়।  


টিএসসি পায়রা চত্বর থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি ভিসি চত্বর, হল এলাকা ঘুরে ভিসি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, প্রশাসন তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে এবং ফ্যাসিবাদী আচরণে সহায়তা করছে।  


সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিদুজ্জামান জ্যোতি বলেন, "শেখ হাসিনার ঘৃণাস্তম্ভ প্রশাসন মুছে দিয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ কায়েমে সহযোগিতা করছে। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে।"  


আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, "শেখ হাসিনার ঘৃণাস্তম্ভ মুছে ফেলার মাধ্যমে আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত করা হয়েছে। এভাবে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসন ক্যাম্পাস চালালে শিক্ষার্থীদের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হবে।"  


প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শনিবার রাত ২টার দিকে মেট্রোরেলের পিলারে থাকা শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছতে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। পরে জানা যায়, এ কার্যক্রম প্রক্টরের অনুমতিতে পরিচালিত হচ্ছে। এতে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির একটি অংশ এবং শেখ হাসিনার ছবির মুখের অংশ মুছে ফেলা হয়।  


এরপর শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করেন এবং পুনরায় সেখানে শেখ হাসিনার একটি ব্যঙ্গচিত্র আঁকেন। তারা দাবি করেন, শেখ হাসিনার ছবিটি ছাত্র-জনতার ক্ষোভ ও প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।  


উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর শেখ হাসিনার ছবিতে লাল চিহ্ন দিয়ে জুতার মালা পরানো হয়েছিল। এটি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে পরিচিতি পায়।  


শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের এমন আচরণের নিন্দা জানিয়ে দ্রুত প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানান।