খাগড়াছড়ির রামগড়ে রাতে পাহাড় কাটার অপরাধে দুই ব্যক্তিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে রামগড় পৌরসভার কালাডেবা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতা আফরিন। অভিযানে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগ ওঠে এবং তাদেরকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এদিন রাতের আঁধারে একটি চক্র পাহাড় কাটছিল বলে অভিযোগ আসে প্রশাসনের কাছে। পরবর্তীতে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন অভিযান শুরু করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শেষে পাহাড়ের মালিক রওশন আরাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং পাহাড় কাটায় জড়িত আলমগীর কবিরকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন জানান, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারার বিধান লঙ্ঘন করায় এই জরিমানা করা হয়েছে। এই আইন অনুসারে, পাহাড় কাটার মতো কার্যক্রম পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং তা আইনসম্মত নয়।
এছাড়াও, তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবে।
রামগড়ে এ ধরনের অভিযান প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সজাগ বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো, পরিবেশের ক্ষতি করা এবং সরকারি নিয়মনীতি অমান্যকারী দোষীদের শাস্তি দেয়া।
এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসন যে পদক্ষেপ নেবে, তা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলেন, পাহাড় কাটা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করা রোধে প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান খুবই জরুরি।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই অভিযান কেবল রামগড়ের সীমিত নয়, বরং পুরো খাগড়াছড়ি জেলা জুড়ে প্রয়োগ করার জন্য আরও উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়া, স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এই অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
প্রশাসন আশা করছে, এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে পাহাড় কাটার মতো অপরাধগুলি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।