পটুয়াখালীর মহিপুরে সাবেক সেনা সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান অভিযোগ করেছেন, তার বাড়ি দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে কেয়ারটেকার রতন ফরাজি জবরদখল করে রেখেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল মান্নান জানান, কর্মসূত্রে ঢাকায় বসবাসকালে ২০০৩ সালে মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলিপুরে তার বাড়ির একাংশ কেয়ারটেকার হিসেবে রতন ফরাজিকে দেখভালের জন্য দেন। কর্মজীবন শেষে ২০১০ সালে ফিরে আসার পর বাড়ি ছাড়ার অনুরোধ করলেও রতন ফরাজি বাড়ি ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। বরং তারকাটার বেড়া দিয়ে বাড়ির একাংশ দখলে নেয় এবং বাধা দিলে মান্নানের স্ত্রীকে মারধর করে।
এরপর আইনগত সহায়তার জন্য মহিপুর থানায় গেলে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার প্রভাবের কারণে পুলিশ অভিযোগ নিতে অপারগতা জানায়। আব্দুল মান্নান দাবি করেন, তিনি কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন, তবে তাতেও কোনো ফল আসেনি।
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ৫ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বাড়ি পুনরুদ্ধারের জন্য মহিপুর থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ রতন ফরাজিকে মীমাংসার জন্য ডেকে পাঠালেও তিনি থানায় উপস্থিত হননি। বরং ১০ লক্ষ টাকা বা ১০ শতাংশ জমির দাবি করে, তা না হলে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মান্নানের ছেলে মনিরুজ্জামান জানান, তার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে তারা গণমাধ্যমের সাহায্য চেয়েছেন।
তবে মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ হালদার বলেন, রতন ফরাজি আদালতে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ করেছে। প্রাথমিক তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি দাবি করেন, মান্নান মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করছেন।
রতন ফরাজির বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।