রোববার বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক জটিলতা কিংবা সংস্কারের তত্ত্ব বোঝে না। তারা চায় ভোটের অধিকার, শান্তি, ন্যায্যমূল্য এবং দুর্নীতি-ঘুষমুক্ত সমাজ।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে বিপদে ফেলে বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি ভয় পাই না, আমি পালাই না। কিন্তু এখন সেই মহিলাই জীবন বাঁচানোর জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই হলো ফ্যাসিবাদের পরিণতি।”
জনসভায় উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের দিকে ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। আপনাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ অঞ্চলের মানুষ শান্তিপ্রিয়।”
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর ধরে জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। বিএনপি জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায়। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য সঠিক প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করে সংসদে পাঠানো, যারা দেশের কল্যাণে কাজ করবে।”
বিএনপির সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে ভিশন বাংলাদেশ ২০৩০ এবং তারেক রহমান ২০২২ সালে ৩১ দফা প্রস্তাব করেছেন। এগুলোই সংস্কার।”
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ। বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বেবী নাজনীন, আসাদুল হাবিব দুলু, ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরসহ বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সকাল থেকেই জনসভাস্থলে নেতাকর্মীদের ভিড় জমতে শুরু করে। দুপুর নাগাদ সভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। বোদা, দেবীগঞ্জ ও পঞ্চগড় পৌর বিএনপি আয়োজিত এই জনসভায় সনাতন ধর্মাবলম্বী, উপজাতি এবং সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।