কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও সমর্থক সহ ২৭২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত এক আন্দোলনকারীর অভিভাবক। এই মামলায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
আহত আন্দোলনকারী রিয়াদের (১৬) পিতা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে গত ২৩ অক্টোবর বুধবার ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং জাতীয় পার্টির ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত ২২০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা গত ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মিছিলে দু’দফা হামলা চালিয়ে রিয়াদসহ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আহত করে। এছাড়া মিছিলে ব্যবহৃত মাইক ও অটোরিকশা ভাঙচুর করে। আন্দোলনকারীদের ৫টি মোবাইল ফোন চুরি করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নূরুন্নবী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাকিনুল হক চৌধুরী ছোটনসহ উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থিত তিলাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল, শিলখুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মায়নুল ইসলাম লিটন এবং জাতীয় পার্টি সমর্থিত ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মাহামুদুর রহমান রোজেনকে আসামী করা হয়েছে। ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন যাবত শারীরিক ভাবে অসুস্থ।
পুলিশ বৃহস্পতিবার এ মামলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ আলী মুকুল (৫৫), আব্দুর রহিম (৬০), ছাত্রলীগের আশরাফুল (৩০) ও শাহীন আলম (২৭) কে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
মামলার বাদী আব্দুল কুদ্দুসের সাথে কয়েকদফায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা যায়নি। তিনি শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর তিলাই গ্রামের বাসিন্দা ও জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় সদস্য।
জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আনোয়ার হোসেন বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আব্দুল কুদ্দুস নামের একব্যক্তির ছেলে আহত হয়েছে। তিনি অভিভাবক হিসাবে মামলা করেছেন। সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে দলীয় করণীয় নির্ধারিত হবে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসির দায়িত্ব পালন করা এসআই আশরাফুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ মামলায় বৃহস্পতিবার ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।