বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গত পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক, সামাজিক এবং কূটনৈতিক তৎপরতায় নতুনভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রায় দেড় দশক ধরে রাজনৈতিক কোণঠাসা অবস্থায় থাকা জামায়াত এখন নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে। সারাদেশে দলকে মজবুত করতে তারা বহুমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
এখন পর্যন্ত তাদের কার্যক্রমের অন্যতম বৃহৎ আয়োজন হতে যাচ্ছে একটি মহাসমাবেশ, যা আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দলীয় ব্যানারে এটি হবে জামায়াতের প্রথম সমাবেশ।
জামায়াতে ইসলামী প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সমন্বয়ক আব্দুস সাত্তার সুমন জানান, "আমরা ঢাকায় একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করছি। এটি নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শিগগিরই হবে।" তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হতে পারে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, "আমরা পরিকল্পিতভাবে কর্মকাণ্ড করছি। মিছিল, সভা-সমাবেশ, সংগঠন সম্প্রসারণ এবং জনশক্তির মানোন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছি। জনগণকে সচেতন করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।"
জামায়াতের এই সক্রিয়তা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন এক উত্তেজনা তৈরি করেছে। তাদের সংগঠন সম্প্রসারণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বিশেষ করে, বর্তমান পরিস্থিতিতে জামায়াতের এই কর্মকাণ্ড ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দলটি তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে সারা দেশে সমর্থকদের মধ্যে নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি করতে চাইছে, যা আগামী নির্বাচনে তাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জামায়াতের এই কর্মকাণ্ড তাদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল এবং সংগঠনকে পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।