বরিশালে লাইসেন্সকৃত পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র এখনও জমা পড়েনি, এমন তথ্য জানিয়ে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। দীর্ঘ ১৬ বছরের মধ্যে বরিশালে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রের সংখ্যা ১৯৭টি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই লাইসেন্সগুলো ইস্যু করা হয়। সম্প্রতি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ লাইসেন্সগুলো স্থগিত করার পর অস্ত্র জমা দেয়ার জন্য গত ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে এই সময়ের মধ্যে মহানগর এলাকার পাঁচটি অস্ত্র এখনও জমা হয়নি।
জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, “লাইসেন্স স্থগিত হওয়ার পর অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। ওই সময়ের মধ্যে পাঁচটি অস্ত্র জমা না পড়ায় এখন আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রশাসন এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।”
সহকারী পুলিশ কমিশনার নাফিছুর রহমান জানিয়েছেন, জমা না দেওয়া পাঁচটি অস্ত্রের মালিকদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। “আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করছি এবং অস্ত্রগুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। যদি তারা নিজ উদ্যোগে অস্ত্রগুলো জমা না দেয়, তবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া, অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে অভিযানও চালানো হচ্ছে।”
সূত্রমতে, যে পাঁচটি অস্ত্র জমা পড়েনি, তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর কনিষ্ঠ ছেলে সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন এবং নগরীর বাসিন্দা সাব্বির আহম্মেদ, এজাজুল হক ও মনিরুল ইসলাম।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অস্ত্র জমা না দেয়ার কারণে আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং অস্ত্রগুলো উদ্ধার করার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে অস্ত্রের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া, জনসাধারণকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, অস্ত্র জমা না দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং কোনো ধরনের আপসহীনতা বরদাস্ত করা হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।