বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা জুড়েই নির্বাচনের ডামাডোল বাজছে। এ অবস্থায় ভোটারদের প্রভাবিত করতে গরুর মাংস রান্না করে ভূরিভোজের আয়োজন করেন এক জনপ্রতিনিধি। ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিশালাকৃতির দুই ডেকচি রান্না করা গরুর মাংস জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তা এতিমখানায় বিতরণ করে দেয়া হয়।
সোমবার (৩ জুন) বিকেলে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত বিশ্বাস দাস।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় ভোটারদের জন্য বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নূরে আলম ব্যাপারী বাসার ছাদে খাবার-দাবারের আয়োজন করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান পদের এক প্রার্থী এ সংক্রান্ত অভিযোগ জানালে রোববার দুপুরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে আমরা দুই ডেকচি রান্না করা গরুর মাংস পাই।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে চেয়ারম্যান যে ব্যাখ্যা দেন তার স্বপক্ষে তাৎক্ষণিক কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে ওই সময় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তিনি একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর হয়ে ভোটারদের জন্যই খাবার দাবারের আয়োজন করছিলেন। নির্বাচনের সময় নির্বাচনী এলাকায় এভাবে খাওয়ার আয়োজন করার নিয়ম নেই, যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। তাই রান্না করা গরুর মাংস জব্দ করে এতিমখানায় দিয়ে দেয়া হয়।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাপ-পিরিচ প্রতীকের সরদার মো. খালেদ হোসেন স্বপনকে সমর্থন জানিয়েছেন কেদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নূরে আলম ব্যাপারী। তিনি তার পক্ষে ভোটারদের কাছে ভোটও চাইছেন।
অপরদিকে, এমপির হাট নামক এলাকা থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে হুমায়ুন কবির নামে একজনকে এক হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। তার ঘর থেকে পাঁচ কেজি গরুর মাংস জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।