গুলশানে আগুন লাগা ভবনে ছিল না ফায়ার সেফটি ও লাইসেন্স : ফায়ার সার্ভিস

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:৩৩ অপরাহ্ন
গুলশানে আগুন লাগা ভবনে ছিল না ফায়ার সেফটি ও লাইসেন্স : ফায়ার সার্ভিস

গুলশান-২ এ আগুন লাগা সেই ভবনটির ফায়ার সেফটি ও লাইসেন্স ছিল না। বহুতল এই ভবন নির্মাণের সময় এই নিয়মও ছিল না। তাই অনাপত্তিপত্র নিয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ও এই সংস্থার তদন্ত কমিটির প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। 


সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 


কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সেটি এখনো চিহ্নিত করা যায়নি এমনটা উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আগুন বিভিন্নভাবে লাগতে পারে। এখানে গ্যাসের লাইন, বিদ্যুতের লাইন আবার একই সঙ্গে বিভিন্ন দাহ্য পদার্থও আছে। সুতরাং কোনটা থেকে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে বলা যাচ্ছে না। 


ভবনের বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ ফায়ার সার্ভিসের ভুল পদক্ষেপে প্রাণহানি হয়েছে৷ এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলেন তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ফায়ার সার্ভিস সকল দিক থেকে কাজ করে। আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, আমাদের অ্যাপ্রোচ রুটটা আগে খুঁজে বের করি। আমরা কখনোই সরাসরি ফায়ার ফাইটিং করি এ রকম না। প্রথমে অ্যাপ্রোচ রুটটা আমরা রেকি করেছি। তারপর অ্যাপ্রোচ রুট খুঁজে বের করে আমরা কাজ করেছি। সাধারণ জনগণ তো আমাদের এই ভাষাগুলো বুঝবে না। একই সঙ্গে আমার টার্নড টেবিল লেটার কোন দিকে কাজ করবে সেটাও তো সাধারণ জনগণ বুঝবে না। সুতরাং ওনারা ওটা বলুক কিন্তু আমরা আমাদের নিয়মে কাজ করে ২২ জন আটকে পড়াকে উদ্ধার করেছি। দিন শেষে ২২টা প্রাণ বেঁচে গিয়েছে সেটাই আমাদের শুকরিয়া করা উচিত। একটা শেষ কথা বলি, যে দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন এটা উনাদের দোষে। আমরা কিন্তু উনাদের বারংবার নিষেধ করছিলাম যে, আপনারা জাম্প দিয়েন না।’ 


এই ঘটনায় ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আনোয়ার হোসেন ও মো. রাজু হোসেন নামে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। তারা এই ভবনের দুইটি ফ্ল্যাটের রাঁধুনির কাজ করতেন।