কুমিল্লার দেবীদ্বারে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃস্ট অগ্নিকান্ডে সর্বস্ব পুড়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে দুটি পরিবার। এতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগি পরিবার ও এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটে দেবীদ্বার পৌর এলাকার বিনাইপাড় গ্রামের রেয়াজ উদ্দিন সরকার বাড়িতে। বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোর রাত অনুমান সাড়ে ৪ টায়।
স্থানীয়রা জানান, সৌদী প্রবাসী মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ঘরের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোর রাত অনুমান সাড়ে ৪ টায় হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠে। আগুন নিয়ন্ত্রনের সুযোগ না থাকায়, পাশ্ববর্তী দিনমজুর নাছির উদ্দিনের ঘরসহ দু’টি ঘরই নিমিষে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে দু’টি টিনসেড ঘর ও ঘরে থাকা আসবাব সামগ্রী, নগদ টাকা, মোবাইল সেট, স্বর্নালংকার, খাবারসহ সবকিছুই পুড়ে যায়। খবর পেয়ে এক ঘন্টা পর মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ নুরুল হুদার নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে আসলেও ততক্ষণে তাদের আর তেমন কিছুই করার ছিলো না। এর আগেই পুড়ে সব শেষ।
ক্ষতিগ্রস্ত সৌদী প্রবাসী নূরুল ইসলামের স্ত্রী, ৩ কণ্যা ও দিনমজুর নাছির উদ্দিন, তার স্ত্রী ও ২ কণ্যা পরনের কাপড় নিয়ে কোনো রকমে আত্মরক্ষা করতে পারলেও ঘরে থাকা আর কিছুই রক্ষা করতে পারেনি।
স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড কমিশনার মো: সফিকুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকান্ড দু’টি পরিবারকেই পথে বসিয়ে দিয়ে গেল। প্রায় ৩ মাস পূর্বে দেলোয়ার হোসেন ব্যাংক ঋণ ও এনজিও থেকে কিস্তি এবং স্বজনদের কাছ থেকে ধার কর্জ করে পরিবারের অভাব ঘুচাতে সৌদী পাড়ি দিয়েছেন। তার স্ত্রী ও ৩ কণ্যার পড়নের কাপড় ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নাই। অপরদিকে দিনমজুর নাছির তার স্ত্রী ও ২ কণ্যাকে নিয়ে জীবন বাঁচাতে পারলেও আর কিছুই রক্ষা করতে পারেনি।
মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোঃ নুরুল হুদা জানান, অনেক দেরিতে সংবাদ পাওয়া এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়েছে। শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে এবং ক্ষয় ক্ষতির পরিমান আনুমানিক আড়াই লক্ষ টাকা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।