ঢাকা ওয়াসার এমডির বেতন-বোনাসের হিসাব দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১১ই অক্টোবর ২০২২ ০১:৩১ অপরাহ্ন
ঢাকা ওয়াসার এমডির বেতন-বোনাসের হিসাব দিতে হবে

কুমিল্লায় গৃহবধূ জামিলা বেগমকে হত্যার দায়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় টিটু মিয়া নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন এ রায় দেন। এ সময় দুজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার শিকির গাঁও এলাকার রাকিব হোসেন (২৮), মানিকারচর এলাকার তছির মিয়া (৪১) ও শিকির গাও এলাকার সুমন মিয়া (৩১)। তবে সুমন মিয়া পলাতক রয়েছেন।


আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল ইসলাম সেলিম জানান, ২০১৬ সালের একদিন মেঘনা উপজেলার মানিকাচর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের গৃহবধূ জামিলা বেগম পান আনতে বাড়ি থেকে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার কানে থাকা সোনার দুলগুলো দেখেন আসামিরা। পরে তারা দুলের জন্য তাকে একটি ধইঞ্চার জমিতে নিয়ে তাকে খুন করেন। পরে কানের দুল নিয়ে বিক্রি করে দেন।


তিনি আরও জানান, খোঁজাখুঁজির পর ২৪ জুন জামিলার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ২৫ জুন জামিলার স্বামী মো. আবদুল হাকিম বাদী হয়ে মেঘনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে চারজনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। দীর্ঘ তদন্ত এবং আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন আদালত।ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে গত ১৩ বছরে কী পরিমাণ বেতন–বোনাস ও টিএডিএসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে, সে তথ্য জানতে চেয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।


হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ওয়াসা বোর্ডের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন।অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার ও সার্ভিস (বেতন ও সুবিধাদি) অর্ডার লঙ্ঘন করে ওয়াসার এমডিকে অযৌক্তিক ও উচ্চ বেতন দেওয়ার অভিযোগ এনে তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন গত জুলাইয়ে রিট করেন।


ওই রিটের শুনানি নিয়ে ১৭ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।আদালতে প্রতিবেদন আকারে ৬০ দিনের মধ্যে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওই সব তথ্য আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।


রুলে ঢাকা ওয়াসার এমডিকে অপসারণে পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। বিগত দিনে তাকে দেওয়া মাত্রাতিরিক্ত বেতন কেন তার কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা হবে না এবং তাকে অপসারণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।


পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ওয়াসা বোর্ড। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল  থাকলো।আদালতে ওয়াসা বোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এএম মাসুম। ক্যাবের পক্ষে আদালতের অনুমতি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে (ইন পারসন) শুনানি করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড.এম শামসুল আলম।  আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইকোর্টে শুনানি করা এই মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।