বরিশালে সংগ্রহ করা মাংসের কেজিও সাড়ে ৭ শত টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: সোমবার ১১ই জুলাই ২০২২ ০৮:১০ অপরাহ্ন
বরিশালে সংগ্রহ করা মাংসের কেজিও সাড়ে ৭ শত টাকা

কোরবানির দিনে রাজধানীর মতো বরিশালেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুস্থ, গরিব, ভ্রাম্যমাণ মানুষেরা মাংস সংগ্রহ করেন। তাদের কেউ কেউ সন্তানসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে সংগ্রহকরা মাংস রান্না করে খেয়ে কোরবানি উদযাপন করছেন। আবার কেউ কেউ সেগুলোকে বিক্রিও করছেন। যে বাজারের ক্রেতারাও বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের।


এককথায় কোরবানি দিতে না পারা সেই মানুষগুলোর সংগ্রহ করা মাংসে কোন না কোনভাবে আরও অনেকের মুখেই হাঁসি ফুটছে।


তবে এবারে এ বাজারে মাংসের দর অনেকটাই চড়া। বরিশাল নগরের পোর্টরোড ব্রিজের ঢালে আজ কোরবানির দিন বিকেলে বসে সংগ্রহকৃত মাংসের বাজার। যে বাজার ঘুরে হতাশ হওয়া ক্রেতা মনির হোসেন বলেন, দিনমজুরের কাজ হরি, হেইয়ার লইগ্যা যদি হিসাব করেন তাই এই বাজারে কোরবানি দেওয়ার ভাগ্য মোর নাই। তয় বউ-পোলাপানরে নিয়া আইজ কোরবানির দিন রাইতে একটু গরুর মাংস খাইতে চাইছেলাম। কিন্তু মোগো গরিবের এই বাজারেও এহন আগুন লাগছে। এহানে গরুর মাংসের কেজি চাইতাছে সাড়ে ৭ শত টাহা।


তিনি বলেন,এতো টাহা থাকলে তো বাজারে গিয়া কসাইর ধারে গোনে মাংস কিইনা আনতাম।


এদিকে কোরবানির একদিন নগরের বাংলাবাজার থেকে এককেজি মাংস কিনেছেন আবু বকর। তিনি জানান, মাংসের কেজি ৮ শত টাকা হলেও পরিচিতো হওয়ায় আমার কেনা মাংসের দাম রেখেছেন সাড়ে ৭ শত টাকা।


এই হিসেবে দুই বাজারদরই এক জানিয়ে অপর এক নারী শ্রমিক মুন্নী বলেন, গতবার বাজারের থেকে কত কোম দামে এহ্যান থাইকা মাংস কিনছি কিন্তু এইবার অ্যা কি দাম চায়। গরুর মাংসের কেজি সাড়ে ৭ শত,আর পেডি (ভূড়ি)র দাম চায় ৩ শত টাহা।


তবে দাম এতও চড়ার বিষয়ে মাংস বিক্রেতারা বলছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়া একজনেও তো বেশি মাংস সংগ্রহ করতে পারে না। তাই তাদের কয়েকজনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা মাংস কিনে এখানে তারা বিক্রি করতে বসছেন।


আর যারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মাংস সংগ্রহ করেন, তাদের কাছ থেকে এখন চড়া দামেই কিনতে হয় এসব ব্যবসায়ীদের।


আর কেনা দামের পর লাভ না থাকলে বিক্রি করতে বসে লাভ কি জানিয়ে বিক্রেতা মুনসুর বলেন, এবারে সংগ্রহ করা মাংসের মান খুবই ভালো। তারমানে মানুষ এখন কোরবানি দিয়া ভালো মাংস গরীবদের দিচ্ছে। 


তবে ক্রেতাদের মতে মাংসের মান ভালো হওয়ায় সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে পোর্টরোডের মৌসুমী এসব মাংস ব্যবসায়ীরা।