টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদরাসার শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় মানববন্ধন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (০৭ জুন) সকাল ৯ টায় উপজেলার সিরাজকান্দি দাখিল মাদরাসার সামনে ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।মানববন্ধনে শিক্ষক ও এলাকাবাসী বলেন, ‘মাদরাসার ছাত্রীদের ইভটিজিংয়ে বাঁধা ও প্রতিবাদ করায় শিক্ষকদের বহিরাগত যেসব বখাটেরা লাঞ্ছিত ও মাধধর করে তাদের সবগুলোকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার ও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ইভটিজিংকারী বখাটে অভিযুক্ত দুইজন গ্রেপ্তার হলেও বাকিগুলোকে গ্রেপ্তারে গড়িমসি করছে পুলিশ। অভিযুক্ত বাকিরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করছি।’মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মাদরাসার সুপার (প্রধান শিক্ষক) মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলামসহ মাদরসার শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।এ ব্যাপারে ভূঞাপুর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
প্রসঙ্গত প্রকাশ- গত রবিবার ২৯ মে দুপুরে মাদরাসা ছাত্রীদের কমনরুমের কাছে টয়লেটের উপর দিয়ে উঁকি দেয় জাহিদ ও সাগর নামের দুই বখাটে। এ সময় মাদরাসার শিক্ষকরা টের পেলে বখাটে দুইজনের মধ্যে সাগর পালিয়ে যায় এবং জাহিদকে ধরে অফিস কক্ষে নিয়ে আসে শিক্ষকরা। পরে জাহিদকে তার এক বড় ভাই ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
পরের দিন সোমবার ৩০ মে দুপুরে মাদরাসার সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও মুন্নাফ নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পুনর্বাসনের কাছে পৌঁছলে জাহিদ, সাগর, শাহাদত, বাছেদ, স্বপনসহ ৮-১০ জন বখাটে তাদের মারার জন্য পথ আটকায়। একপর্যায়ে বখাটেরা রড ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করে। পরে স্থানীয় ও শিক্ষকরা তাদের উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন
এ ঘটনার একদিন পর আহত শিক্ষক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ভূঞাপুর থানায় মামলা করলে টাঙ্গাইল র্যাব-১২ সিপিসি ৩ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে বুধবার (০১ জুন) অভিযুক্ত সাগর ও স্বপনকে গ্রেপ্তার করে সন্ধ্যায় ভূঞাপুর থানায় সোপর্দ করে র্যাব। পরে বৃহস্পতিবার (০২ জুন) বিকালে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।