ভূঞাপুরে সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফুয়াদ হাসান রঞ্জু, উপজেলা প্রতিনিধি, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: বুধবার ২৫শে মে ২০২২ ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
ভূঞাপুরে সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও স্থানীয়রা। পরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


বুধবার (২৫ মে) দুপুরে নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব-ভূঞাপুর সড়কের উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পূনর্বাসন এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এছাড়া মানববন্ধনে স্থানীয়রাও অংশগ্রহণ করে। পরে নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মুহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকার।


মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা বলেন, পাটিতাপাড়ার বালুর ঘাটটিতে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সেই ঘাট মাসুদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ঘাট দখল করার পায়তারা করছে। কিন্তু সুযোগ না পেয়ে গত শনিবার (২১ মে) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিন সরকারের ছবি দিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের দিয়ে মিথ্যাচার করে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। অথচ সে ওই বালুর ঘাটের সাথে জড়িত না। এসময় তারা দল থেকে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মাসুদসহ তার সহযোগিদের বিচার দাবি করেন। এছাড়া এলাকাবাসী যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেজন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে কামনা করেছেন বক্তারা।


মানববন্ধন শেষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন সরকার বলেন, চেয়ারম্যান হওয়ার পরই মাসুদ ও ইউপি সদস্য নূহু মিলে বালুঘাটগুলো দখলে নেয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তবে জমির মালিকরা তাদের প্রশ্রয় দেয়নি। বহিরাগতদের দিয়ে ঘাটগুলো দখল করার জন্য ক্যাডার বাহিনী সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী মাসুদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নূহু মেম্বার, জুরান মন্ডল, আকবর প্রামাণিক, ফিরোজ ফকির ও অন্যান্যরা সুকৌশলে গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় পেট্রোল-বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছিল। বর্তমানে ঘাট দখল করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন দিয়ে মানববন্ধন করিয়েছে।


তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান মাসুদ বিএনপির সক্রিয়কর্মী ছিল। উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় দলে প্রবেশ করেছে।