যমুনার বালুচরে বাদামের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফুয়াদ হাসান রঞ্জু, উপজেলা প্রতিনিধি, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: সোমবার ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:১৭ অপরাহ্ন
যমুনার বালুচরে বাদামের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

যমুনার চরে জেগে ওঠা বালুতে ফসল উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে অনেক কৃষক। শুষ্ক মৌসুমে তারা বিভিন্ন ফসল আবাদ করেন। ভূঞাপুরের যমুনার চরাঞ্চলে চলতি বছরে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বছর বন্যা পরবর্তী সময়ে যমুনার বুকে জেগে উঠা বালুচরে বাদামের চাষ করেন চরাঞ্চলের কৃষকেরা। 


চলতি বছরের বন্যায় উপজেলার অর্জুনা, গাবসারা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যমুনার বুকে জেগে উঠা বালুচরে বাদাম চাষ করেন তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাদামের বাম্পার ফলনে চরাঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। 


বাদাম মুখরোচক ও সুস্বাদু খাবার। বাদাম চাষ সহজ ও লাভজনক। তাছাড়া বাড়তি সার ও সেচের প্রয়োজন হয়না। হাট বাজার গুলোতে চরাঞ্চলের অন্যান্য ফসলের চেয়ে বাদামের চাহিদা ও দাম অনেক বেশি। সরজমিনে যমুনা তীরবর্তী উপজেলার গোবিন্দাসী হাটে গিয়ে দেখাযায়, প্রতি মন বাদাম এক হাজার ৫’শ থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


যমুনা চরাঞ্চলের বাদাম চাষি আশরাফ বলেন- আমরা প্রতি বছর বন্যা পরবর্তী সময়ে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যমুনা চরাঞ্চলে বাদামের চাষ করি। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর বাদামের বাম্পার হয়েছে। স্থানীয় হাট-বাজার গুলোতে বাদামের চাহিদা অনেক বেশি। 


বাদাম চাষী সিরাজ ও তুলা মিঞা বলেন, এ বছর বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১২ মন বাদাম হয়েছে। প্রতি মন বাদাম ১ হাজার ৫'শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে আমাদেরকে উন্নত মানের বাদাম বীজ ও সার বিতরণ করেছেন। এ ছাড়া কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। 


এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, আমাদের যমুনা চরাঞ্চলের বালি মাটি বাদাম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বন্যা পরবর্তী সময়ে এখানকার কৃষকরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যমুনার বুকে জেগে উঠা বালুচরে বাদাম চাষ করেন। আমরা বাদামের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পরামর্শ সহ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করেছি। বাজারে বাদামের ভালো দাম পাওয়ায় প্রতিবছর কৃষকদের মাঝে বাদাম চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের ২ হাজার ১২০ হেক্টর জমির বাদাম চাষ করা হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের চরাঞ্চলে বাদামের বাস্পার ফলন হয়েছে।