শেরপুরের নকলা উপজেলায় একটি ভবনেই ৭০টি চাক বেঁধেছে মৌমাছির দল। চারতলা ভবনের ছাদ, জানালার কার্নিশে চাক বাঁধা মৌমাছিগুলো বন মৌমাছি। আশপাশের বিস্তীর্ণ শর্ষে খেত থেকে মধু সংগ্রহের পর তা চাকে জমা করছে মৌমাছিগুলো।
উপজেলার চন্দ্রকোনা এলাকার ওই ভবনটি চন্দ্রকোনা কলেজের। ৭০টি চাকের খবর জানাজানি হওয়ার পর উৎসুক অনেকেই তা দেখতে ভবনের সামনে ভিড় করেন। চন্দ্রকোনা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক জয়ন্ত কুমার দেব বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু থাকার সময়ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পাঠ কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। কাউকে মৌমাছি কামড়ানোর কথা শোনা যায়নি।
চন্দ্রকোনার মৌচাষি ফয়েজুর রহমান বলেন, কলেজ ভবনে চাক করা মৌমাছিগুলো ডাচ জাতের বন মৌমাছি। এরা সংঘবদ্ধভাবে এক জায়গায় থাকতে ভালোবাসে। চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় শর্ষে আবাদ করা হয়েছে। এসব খেতের শর্ষে ফুল থেকে মধু আহরণ সহজ উৎস হওয়ায় মৌমাছিগুলো কলেজের এ ভবনটিতে বাসা বেঁধেছে।
চন্দ্রকোনা কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, চার বছর ধরে শীত মৌসুমে কলেজের চারতলা ভবনে মৌমাছি চাক বাঁধছে। প্রথম দিকে অল্পসংখ্যক চাক ছিল। তবে এ বছর মৌমাছির দল ৭০ থেকে ৭৫টি চাক বেঁধেছে। সাধারণত মধ্য ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলেজ ভবনে মৌমাছির দল চাক বেঁধে অবস্থান করে। চলতি মৌসুমে এসব চাক মৌয়ালদের কাছে ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, নকলার আবহাওয়া শর্ষে চাষের জন্য বেশ উপযোগী। চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে শর্ষের আবাদ হয়েছে। তাই শীত মৌসুমে নকলার চরাঞ্চলে মৌমাছি চাক করে থাকে। মৌমাছি মধু আহরণ করায় সহজে পরাগায়ণ ঘটে। ফলে শর্ষের উৎপাদন অনেক বেশি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।