‘গ্রিন আইবি চ্যাম্পিয়ন ২০২১’ পুরষ্কার পেয়েছে ফার্মজিলা ’’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার ২৪শে জানুয়ারী ২০২২ ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
‘গ্রিন আইবি চ্যাম্পিয়ন ২০২১’ পুরষ্কার পেয়েছে ফার্মজিলা ’’

সঠিক খাদ্য অভ্যাসই আমাদের সুস্বাস্থ্যের নিয়ামক। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০১৬ সাল থেকে ফার্মজিলা ১০,০০০ বছরের প্রাচীন শস্য নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে খাদ্য অভ্যাসই মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।


আমাদের খাদ্য উপাদানে যদি যথোপযুক্ত ফাইবার (আঁশ), কার্বোহাইড্রেড, হেলদি ফ্যাট এবং প্রোটিন থাকে তবে সে খাদ্য মানুষের শরীরের জন্য উপযোগী। তদুপরি খাদ্য উৎপাদনে যে প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয় তা পরিবেশ সহায়ক এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনে দারুণ ভাবে সক্ষম। কম পানি ব্যবহার করে মানুষের জীবনকে নিরাপদ করে এই প্রাচীন খাদ্য উৎপাদন সম্ভব । এই প্রাচীন খাদ্য মানুষের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।


বর্তমান সময়ে প্রত্যেক তিনজনের মধ্যে একজনের অতিরিক্ত ও কম স্থুলতা, হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোক, হাইপারটেনশন, গ্যাস্ট্রিক, ডায়াবেটিস ও নানাবিধ ক্যান্সার, ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত।



ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে দশম। প্রতি এগার জনের মধ্যে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ডায়াবেটিস রোগী আক্রান্ত। পরিসংখ্যান মতে ২০৪৫ সালে বাংলাদেশে ১৫ মিলিয়ন প্রাপ্ত বয়স্ক লোক ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হতে পারে।



বাংলাদেশে ৫০ মিলিয়ন নারী থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে ৩০ মিলিয়ন নারী জানেনা তারা থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত এবং নারীরা পুরুষের  চেয়ে ১০ গুণ বেশি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। এর সমাধান কল্পে বার্লি ও মিলেটস যুক্ত প্রাচীন প্রাকৃতিক খাদ্যই আমাদের জন্য অতীব জরুরী।


বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, প্রত্যেকের শরীরে (৩৭-৪০) ট্রিলিয়ন কোষ থাকে। এর জন্য প্রত্যেক দিন (৫০-৭০) বিলিয়ন কোষ মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। আবার নতুন করে ৫০-৭০ বিলিয়ন জন্ম নেয়। জানা যায়, প্রত্যেক কোষের সময়কাল ০৩ মাস। আমরা যদি আমাদের খাদ্যাভ্যাসে বিষমুক্ত খাদ্য গ্রহণ করি তাহলে শরীরে শক্তিশালী কোষ উৎপাদন সম্ভব হয়।



সে রকম অতীব প্রয়োজনীয় খাদ্য নিয়ে কাজ করে ফার্মজিলা ফুড্স লি: এর ফাউন্ডার জনাব খাইরুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ‘‘গ্রীন আইবি চ্যাম্পিয়ন  ২০২১” এর ২য় পুরস্কার।



একই সাথে বাংলাদেশের কৃষকদের সংগঠিত করে সেই খাদ্যের চাষ বাংলাদেশে করে যাচ্ছেন খাইরুল ইসলাম  চৌধুরী ও তার টিম। যার থেকে আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে সেই খাদ্যের রপ্তানি করা যায়। একই সাথে ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন সেমিনার সেম্পজিয়াম এর মাধ্যমে মানুষকে সুস্বাস্থ্যের জন্য সচেতনতামূলক নানাবিধ কার্যক্রম করে যাচ্ছে। যার ফলে উপকৃত হবে দেশ ও সমাজ।


সুস্বাস্থ্য নির্ভর পরিবেশ বান্ধব আগামী প্রজন্ম গড়া ফার্মজিলার মূল লক্ষ্য।