দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেবীদ্বার পৌরসভার নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, উপজেলা প্রতিনিধি - দেবীদ্বার, কুমিল্লা
প্রকাশিত: বুধবার ১লা ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেবীদ্বার পৌরসভার নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু

দীর্ঘ ১৩ বছর পর বুধবার ১ ডিসেম্বর থেকে গুনাইঘর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত দেবীদ্বার পৌরসভার নিজস্ব ভবনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আশিকুুন নবী তালুকদার’র দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার মধ্যদিয়ে পুন:রায় আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 


বুধবার সকাল ১১টায় পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিকুুন নবী তালুকদার গুনাইঘর গ্রামে অবস্থিত পৌরসভার নিজস্ব ভবনে অতিরিক্ত দায়িত্ব পৌর প্রশাসকের প্রথম দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পাদন করতে গেলে, পৌরসভার সচিব মোঃ ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা পৌর প্রশাসককে ফুল দিয়ে বরন করে নেন।


উল্লেখ্য ২০০৪ সালের ১৫ জুন উপজেলা সদর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর পৌরসভার পশ্চিম সীমান্তে গুনাইঘর এলাকায় প্রায় ৬৫ শতাংশ জমির ওপর ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতল পৌরভবন কাজ সম্পন্ন করে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু করে। 


বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর, ২০০৮ সালের জানুয়ারী মাস থেকে দূরত্বের কারণ দেখিয়ে সেখান থেকে পৌরসভার সকল কার্যক্রম উপজেলা সদর এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন দেবীদ্বার মাজেদা আহসান মূন্সী পৌর গণপাঠাকারটি বন্ধ করে  উক্ত পাঠাগারের দ্বিতল ভবনটিতে পৌরসভার সকল কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে দেবীদ্বারের একমাত্র পাঠাগারটি পাঠক প্রিয়দের জন্য অবমুক্ত করেদেয়ার দাবী উঠে। দীর্ঘ আন্দোলন ও প্রতীবাদের মুখে ১৩ বছরপর পৌরসভার নিজস্ব ভবনে সকল কার্যক্রম আজ ০১ ডিসেম্বর বুধবার থেকে পুনঃরায় পৌরসভার মূল ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করা হয়।  


পৌর সভার সহায়ক সদস্য মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে উক্ত ভবন উদ্বোধন করার পর বেশ কয়েক বছর কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এক পর্যায়ে দূরত্বের অভিযোগে পৌরবাসী আন্দোলন শুরু করেন। এর আগে সীমানা জটিলতা এবং তথ্যগোপনে বিশাল এলাকা (দেবীদ্বার সদর ইউনিয়ন সম্পূর্ণ এবং গুনাইঘর উত্তর, গুনাইঘর দক্ষিণ, সুবিল ইউনিয়নের অংশবিশেষ) নিয়ে গঠিত পৌরসভা বাতিলের দাবীতে দু’টি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলাগুলো চলমান থাকায় বিগত ১৭বছর ধরে উক্ত পৌরসভায় নির্বাচন না হওয়ায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাই পৌর প্রশাসক হিসেবে পৌর মেয়রের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। 


দেবীদ্বার পৌরসভার সচিব মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা নিজস্ব ভবনে ফিরে আসায় আমাদের কাজে অনেক সুবিধা হয়েছে। নাগরিক সেবার মানও বেড়েছে। আগে ছোট্ট তিনটি রুমে একাধিক কর্মকর্তাকে বসতে হয়েছে। মানুষের চাঁপও ছিল। এখন মানুষ সহজেই সব কাজ করতে পারবে।দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক আশিকুুন নবী তালুকদার বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে আলোচনা করে নাগরিক সেবার মান বাড়াতে এবং পৌর পাঠাগারটি পুনরায় কার্যকর করতে পৌরসভার নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে পৌর এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করছি।