পরিবহন সমস্যা নিরসনে ইবি শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৬শে অক্টোবর ২০২১ ০৩:৫৪ অপরাহ্ন
পরিবহন সমস্যা নিরসনে ইবি শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক সংস্কার এবং ক্যাম্পাসের পরিবহন সমস্যা নিরসনে গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে আমবাগান চত্বরে প্রায় ৫শ' শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের কাছে ৬ দফা দাবিতে এ স্মারকলিপি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।


শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহ হলো- কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ শহর থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে দুই জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ রুটে চলাচলকৃত ক্যাম্পাসের নিজস্ব এবং ভাড়ায় চালিত বাস সমূহের যথাযথ ফিটনেস, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলপার থাকা নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক গাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত স্টিকার ও রুট প্ল্যান সংযুক্ত করতে হবে।


ক্যাম্পাসের নিজস্ব ও ভাড়ায় চালিত বাস সমূহে ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যতীত বাইরের যাত্রী উঠানো বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে ক্যাম্পাস-ঝিনাইদহ রুটে চলাচলরত সিংহভাগ বাস ফিটনেসবিহীন; যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।  অনতিবিলম্বে সেগুলো পরিবর্তন করতে হবে। ঝিনাইদহ রুটে চলাচলরত ভাড়াকৃত বাসসমূহে শিক্ষার্থীদের থেকে ভাড়া আদায়, অসৌজন্যমূলক আচরণ, যাতায়াতের জন্য শিক্ষার্থীদের বাসে উঠতে দিতে অনীহা, ক্যাম্পাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যতীত বাইরে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করতে হবে।


এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী সভাপতি আব্দুর রউফ বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবহন সমস্যা নিরসনে নানা দাবি-দাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট করে আসছি। পরিবহন খাতে এ ভোগান্তি আসলেই শিক্ষার্থীদের জন্য চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি করছে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবিগুলো অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।


এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, "শুধু পরিবহন প্রশাসক হিসেবে নয়, শিক্ষার্থীদের একজন অভিভাবক হিসেবেও তাদের যৌক্তিক দাবি আমি সমর্থন করি। আমার মাধ্যমে মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের বরাবর গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মরকলিপি শিক্ষার্থীরা দিয়েছে। উপাচার্য মহোদয়ের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।"