প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:২
মনকে প্রশান্তি ও কাজের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে বিনোদন খুবই জরুরি। তা হতে পারে কারো সঙ্গে গল্প, কৌতুক, রসিকতা কিংবা কারো জীবনের ভালো দিক বা পুরনো কোনো স্মৃতি নিয়ে বন্ধু-বান্ধব বা আপনজনদের সঙ্গে আলোচনা করা।তবে এসব হাস্যরস, কৌতুক কিংবা রসিকতায়ও থাকতে হবে শালীনতা ও সীমাবদ্ধতা। এমন কোনো ঘটনার বর্ণনা বা রসিকতা করা যাবে না যাতে শোরগোল বা গোনাহ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অন্যের অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ হয় তাও করা যাবে না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে রসিকতা ও সুন্দর সুন্দর ঘটনার বর্ণনায় মেতে উঠতেন। হাদিসে এ রকম অনেক ঘটনার বর্ণনা এসেছে-
রসিকতা কিংবা কৌতুক মানুষকে প্রশান্তি দেয়। মানুষের রাগ দমন করে। মানসিক প্রশান্তির অন্যতম চিকিৎসাও গল্প, রসিকতা ও কৌতুক। আপনজনদের কেউ যখন হঠাৎ রেগে যায় তখন রসিকতা দ্বারাই সাধারণত তা দমন বা থামানোর চেষ্টা করা হয়। রসিকতা গল্প কিংবা কৌতুকের অভিজ্ঞতা কমবেশি সবারই আছে। তবে শান্তি ও সমাধান খুঁজতে গিয়ে এমন কোনো রসিকতা করা যাবে না যে রসিকতায় মানুষকে গোনাহের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। কেননা ব্যবহারের অসাবধানতায় মানুষের অনেক প্রিয় জিনিসও ভীষন অপ্রীতিকর ও মন্দে পরিণত হয়।
>> রসিকতার নামে মিথ্যা বা গোনাহ করা যাবে না
‘তোমার তোমাদের ভাইয়ের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ো না এবং তার সঙ্গে পরিহাস করো না।’
>> রসিকতার নামে কষ্ট দেয়া যাবে না
>> রসিকতার নামে কাউকে ক্ষেপানো যাবে না
কেননা বিরক্তি মানুষকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যায়। আর যখন সংঘাত বেধে যায় তখন শয়তান সেখানে প্রচণ্ড আকারে প্ররোচিত করতে থাকে। আর তাতে বড় ধরনের ফাসাদ বা ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। তখন এ ঝগড়া জখম তথা হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত গিয়ে পৌছে। সুতরাং রসিকতার নামে কাউকে ক্ষেপানো যাবে না।
>> রসিকতার আদব হলো-
এ প্রসঙ্গে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে-
রসিকতা, কৌতুক ও ভালো গল্প যেন শুধু প্রশান্তির জন্য হয়। এ বিষয়টি লক্ষ রেখেই ছোট-বড়দের সম্মান ও স্নেহের কথা মনে রেখে অবস্থানভেদে সবার সঙ্গে উত্তম রসিকতা ও কৌতুক ও গল্প করা যেতে পারে। গোনাহ হবে এ ধরনের সব রসিকতা ও গল্প ত্যাগ করাও আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রসিকতার নামে সব ধরনের মিথ্যা, কষ্টদায়ক ও গোনাহের শামিল রসিকতা ও কৌতুক থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর