
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:৬

আসমান-জমিন, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, পাহাড়-পর্বত এক কথায় সবকিছুই মহান আল্লাহ তাআলার নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনি সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। কুরআনের ঘোষণায় ‘নিশ্চয় তিনি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
তিনিই সে মহান সত্ত্বা যিনি- রাতকে দিনে এবং দিনকে রাতে পরিণত করেন। মৃতকে জীবিত করেন আবার জীবিতকে মৃত্যুদান করেন। তিনিই বীজ থেকে ফসল বের করেন আবার ফসল থেকে বীজ বের করেন। তিনিই সে মহান সত্ত্বা যিনি খেজুরের দানা থেকে খেজুর গাছ উৎপন্ন করেন আবার দানাটি বের করেন খেজুর থেকে।তিনিই সে মহান সত্ত্বা যিনি কাফেরের ঘরে মুমিনকে সৃষ্টি করেন আবার মুমিনের ঘরে কাফের সৃষ্টি করেন। তিনিই ডিম থেকে মুরগি আবার মুরগি থেকে ডিস সৃষ্টি করেন। এ সবই তার নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনি যাকে ইচ্ছা বেশুমার রিজিক দান করেন আবার যাকে ইচ্ছা রিজিক বা সম্পদ থেকে মাহরুম করেন। দুনিয়ার সব কিছুই তার নিয়ন্ত্রণাধীন।
জগৎ বিখ্যাত তাফসির ‘ইবনে কাছির’-এ এসেছে-

কুরআনুল কারিমের সুরা আল-ইমরানের এ আয়াতেই আল্লাহ তাআলা তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উম্মতে মুহাম্মাদিকে নির্দেশ দিয়েছেন।কুরআনুল কারিম নাজিলের আগে ২ হাজার বছর ধরে প্রায় ৪ হাজার নবির আগমন ঘটে। বনি ইসরাইলের এসব নবি রাসুল ও তাদের উত্তরসূরীদের তিনি আল্লাহর কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপনের এ নেয়ামত শিক্ষা দেননি। আল্লাহ তাআলা শুকরিয়া আদায়ের মহামূল্যবান সুসংবাদ ও নেয়ামত বনি ইসমাইল তথা উম্মতে মুহাম্মাদিকে দান করেছেন। আর বনি ইসমাইলের মধ্য থেকেই হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বকালের সর্ব যুগের সব নবি-রাসুলদের নেতা ও সাইয়েলদুল মুরসালিন হিসেবে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের জন্য এ আয়াতে রয়েছে অনেক শিক্ষা ও ফজিলত। আল্লাহর শেখানো আয়াতের মাধ্যমে তার কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করতে পারলেই দুনিয়ার সব নেয়ামত মুমিন বান্দার জন্য সুনির্ধারিত। অন্যথায় সবাইকে আল্লাহর অবাধ্য বান্দাদের অবস্থায় পতিত হতে হবে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার প্রতিটি কাজে এ আয়াত দ্বারা শুকরিয়া আদায় করার পাশাপাশি আল্লাহর ক্ষমতায় পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের নেয়ামত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।