চারদিকে ডেঙ্গুসহ নানা রোগে ভুগছে মানুষ। বর্তমানে ডেঙ্গ জ্বরের প্রভাব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচতে দোয়া শিখিয়েছেন। আবার যারা অসুস্থ হয়ে যেতেন তাদের পাশে গিয়ে দোয়া করতেন। তাদের সুস্থতায় তাদের গায়ে (শরীরে) হাত বুলিয়ে দোয়া করতেন। যাতে অসুস্থ ব্যক্তি আরোগ্য লাভ করে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ যখন অসুস্থ হয়ে যেত, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসুস্থ ব্যক্তির গায়ে (শরীরে) তাঁর ডান হাত বুলাতেন এবং বলতেন-
أَذْهِبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ ، وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لا شِفَاءَ إِلا شِفَاؤُكَ ، شِفَاءً لا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ : আজহিবিল বাসা রাব্বাননাসি- ওয়াশফি আংতাশ শাফি লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা- শিফাআন লা ইউগাদিরু সাক্বামা।’
অর্থ : হে মানুষের প্রতিপালক! এ রোগ দূর করে দিন এবং আরোগ্য দান করুন। আপনিই আরোগ্য দানকারী। আপনার আরোগ্য ব্যতীত কোনো আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য, যা বাকি রাখে না কোনো রোগ।’ (বুখারি, মিশকাত)
সুতরাং ডেঙ্গুসহ সব রোগের বেলায় প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ আমলটি করা যেতে পারে। আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা সব রোগ থেকে মানুষকে মুক্তি দান করবেন।
বিশেষ করে ডেঙ্গু মশাসহ পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে হেফাজতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ আমলটিও করা আবশ্যক।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শেখানো দোয়াটি হলো-
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
উচ্চারণ : আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিং শাররি মা খালাক্বা।
অর্থ : আমি আল্লাহর সব পূর্ণ কালেমাসমূহের উসিলায়, তাঁর সৃষ্ট সব (বিষাক্ত) প্রাণীর অনিষ্টতা থেকে আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয় নবির প্রিয় আমল ও দোয়াগুলো যথাযথ আদায় করার মাধ্যমে অসুস্থতা থেকে সুস্থতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।