
প্রকাশ: ৬ মে ২০১৯, ০:২৯

মাহে রমজানে রাত্রিকালে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে ‘তারাবি নামাজ’ বলা হয়। আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা। তারাবি নামাজ পড়াকালে প্রতি দুই রাকাত বা চার রাকাত পরপর বিশ্রাম করার জন্য একটু বসার নামই ‘তারাবি’। দীর্ঘ নামাজের কঠোর পরিশ্রম লাঘবের জন্য প্রতি দুই রাকাত, বিশেষ করে প্রতি চার রাকাত পর একটু বসে বিশ্রাম করে দোয়া ও তসবিহ পাঠ করতে হয় বলে এ নামাজকে ‘সালাতুত তারাবিহ’ বা তারাবি নামাজ বলা হয়।
আসুন জেনে নেই তারাবীহ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসআলা
১। যে রাতে রমজানের চাঁদ দেখা যাবে সে রাত থেকে তারাবীহ নামাজ শুরু করতে হবে। ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গেলে তারাবীহ বন্ধ করতে হবে। তারাবী নামাজের সময় এশার নামাজের পর থেকে শুরু হয় এবং ফজরের সময় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত থাকে। যদি কী এশার নামাজের পূর্বে তারাবী পড়ে তাহলে তাহলে তা দুরস্ত হবে না।
৩। তারাবীহর সময় এশার ফরজের পর থেকে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত। বিতিরের পূর্বে ও হতে পারে এবং পরেও হতে পারে। যদি কয়েক রাকাত বাকি থাকে, ইমাম বিতিরের জন্য দাঁড়িয়ে যায় তখন ইমামের সাথে বিতির পড়ে নেবে। অতঃপর বাকি নামাজ আদায় করে নেবে যদি ফরজ জামাতের সাথে পড়ে থাকে। আর এটা হলো উত্তম। যদি তারাবীহ পূর্ণ করে বিতির একাকী পড়ে তখনও জায়েয। যদি পরে জানা যায় যে, এশার নামাজ অজু ব্যতীত পড়া হয়েছে এবং তারাবীহ ও বিতির অজু সহকারে পড়ে থাকলে এশা ও তারাবীহ পুনরায় পড়বে, তবে বিতির হয়ে যাবে। (দুরুল মোখতার, রদ্দল মোহতার)
৪। তারাবীহ বিশ রাকাত দশ সালামে আদায় করবে, অর্থাৎ প্রত্যেক দু’রাকাত পর সালাম ফিরাবে, কেউ বিশ রাকাত পড়ে শেষে সালাম ফিরাল-যদি প্রত্যেক দু’রাকাতে বসে থাকেও হয়ে যাবে। কিন্তু মাকরূহ হবে আর যদি দু’ রাকাতের বৈঠক না করে থাকলে তখন দু’রাকাতের স্থলাভিষিক্ত হবে। (দুররুল মোখতার)
৫। তারাবীহ নামাযে খতমে কুরআনের বিধান:

ইনিউজ ৭১/এম.আর