ইসরায়েলি তাণ্ডব পুনরায় শুরু হওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এই আগ্রাসনকে অত্যন্ত বড় ধরনের অপরাধ ও বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেছেন জকিগঞ্জ উপজেলা সচেতন নাগরিক ফোরাম সিলেট এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।
তিনি বলেছেন, বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমান সহ বহিঃবিশ্বে নির্যাতিত মুসলমানদের পাশে ধারানোর আহবান জানিয়েছেন। বিশেষ করে ফিলিস্তিনকে ভালোবাসা, তাদের পাশে থাকা ঈমানের দাবী উল্লেখ করে দুধরচকী বলেছেন, এটি পুরো মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়। আর তাই গোটা উম্মাহকে সব ধরনের মতভেদ ভুলে এই অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
মুসলিমদের সব দল, উপদল, মাজহাব- এ ব্যাপারে একমত যে, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস, মসজিদে আকসা এবং সমগ্র ফিলিস্তিনের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অনেক উচ্চ। এর সংরক্ষণ, পবিত্রতা রক্ষা করা শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়; বরং সব মুসলিমের ওপর ওয়াজিব। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে ফিলিস্তিনের অসংখ্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
এক. ইসরা ও মিরাজের ভূমি :
আল্লাহ বলেন, পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তার বান্দাকে রাত্রে ভ্রমণ করিয়েছিলেন আল-মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত-১)
জেরুজালেম হলো ইসরা বা রাসুলুল্লাহর (সা.) রাত্রিকালীন ভ্রমণের সর্বশেষ জমিন। এখানে তিনি সকল নবীর নামাজের ইমামতি করেন। তার পর তিনি এখান থেকে ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করেন।
এর দ্বারা আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, বিশ্ব ধর্মীয় নেতৃত্ব ইহুদীদের কাছ থেকে নতুন রাসুল, নতুন কিতাব ও নতুন উম্মতের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এখানে যদি ফিলিস্তিনিদের গুরুত্ব না থাকত, তা হলে আল্লাহ তার প্রিয় নবীকে মক্কা থেকেই সরাসরি ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করাতেন।