বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫২১ কার্তিক, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ধর্মবাংলাদেশ

আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী (রহ.) এর অবদান কখনো ভুলার নয়

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ২:১৭

শেয়ার করুনঃ
আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী (রহ.) এর অবদান কখনো ভুলার নয়
দুবাগী (রহ.)
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

ইসলাম ধর্ম যে-কয়টি ইলম অর্জনের তাগিদ প্রদান করে এর বাইরে অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্বীনি ইলম চর্চার সময় ও ইচ্ছার অভাব সাধারণত অনেক আলিমগণের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। যেমন কেউ শুধু ইলমুল আকাঈদ নিয়ে ব্যস্ত, কেউ শুধু ইলমুল ফিকহ, আবার কেউ শুধু ইলমুত তাসাউফ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু বিশুদ্ধ তরিকা হল, ইসলাম ধর্ম-সংশ্লিষ্ট ইলম উক্ত তিন ইলমের সমষ্টির নাম। হযরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী দুবাগী ছাহেব (রহ.) এমন এক সৌভাগ্যবান মুত্তাকী ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মনিষী ছিলেন সমকালীন সময়ে যার তুলনা বিরল। 

ইমাম মালেক (রহ.) বলেন- যে ব্যক্তি শুধু ফিকহ-এর ইলম শিখলেন কিন্তু তাসাউফ হাসিল করলেন না, সে ফাসিক। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি শুধু তাসাউফের ইলম হাসিল করলেন কিন্তু ফিকহ শিখলেন না, সে ধর্মদ্রোহী। আবার যিনি উভয় বিষয়ের ইলম লাভ করলেন, তিনি যথার্থ কাজ করলেন। অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে তিনিই হলেন ওরাসাতুল আম্বিয়া।

আরও

আল্লাহর পথে ফিরে আসাই আত্মার শান্তি

আল্লাহর পথে ফিরে আসাই আত্মার শান্তি

আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহ.) ইলমে কুরআন, ইলমে হাদীস, ইলমে ফিকহ, ইলমে আকাঈদ, ইলমে তাসাউফ তথা শরীয়ত ও মারিফতের প্রয়োজনীয় সর্বপ্রকার ইলম অর্জন করে ব্যবহারিক জীবনে সফলতার সাথে বাস্তবায়নে নজির স্থাপন করেছেন। আমার পরম শ্রদ্ধেয় উস্তাযুল মুকাররম হযরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী দুবাগী হুজুরের অবদান কখনো ভুলার নয়। সৎপুর দারুল হাদীস কামিল মাদরাসায় অধ্যয়নকালে হুজুরের সাথে যে মধুর স্মৃতি রয়েছে তা আজও স্মরণ আছে। খেয়াল করলে হুজুরের নসিহত, কথাবার্তা, পাঠদান ইত্যাদি চোখের সামনে এখনো ভেসে উঠে। এমন বিজ্ঞ ও পাণ্ডিত্যের অধিকারী উস্তাযের ফয়েজ প্রাপ্তি সৌভাগ্যের ব্যাপার।

যেসব মনীষাগণের অবয়ব দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ আসে তারাই হলেন ওলীআল্লাহ। হযরত আল্লামা দুবাগী হুজুর (রহ.) ছিলেন এমন উঁচু মার্গের এক বুযুর্গ। 

আরও

আল্লাহর সন্তুষ্টিই মুমিনের আসল সফলতা

আল্লাহর সন্তুষ্টিই মুমিনের আসল সফলতা

তিনি বেশ জবরদস্ত আলিমে দ্বীন হিসেবে তখনও মশহুর ছিলেন। আপাদমস্তক সুন্নতে নববীর পাবন্দ, মুখাবয়বে আশিকে রাসুলের ছাপ তথা ছিরতে ছুরতেও তিনি-যে একজন আল্লাহর ওলী তা প্রকাশিত ছিল। তিনি আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধন্য হয়েছিলেন। আকিদা ও আমলে ছিলেন সত্যের প্রতিবিম্ব। আমল-আখলাক, নম্রতা-ভদ্রতা, ইবাদত-বন্দেগী ইত্যাদিতে ছিলেন অতুলনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী।

সৎপুর দারুল হাদীস কামিল মাদরাসা তখন ছিল খ্যাতিসম্পন্ন এক দারসে হাদীসের বাগান। মাদরাসার মুহতারাম আসাতিযায়ে কিরাম যেমন ছিলেন যুগের শ্রেষ্ঠ ও যোগ্য উস্তায তেমনি তাদের নেক সোহবতে সৃষ্টি হয়েছিলেন অসংখ্য যোগ্য আলিমে-দ্বীন। বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসা থেকে ১৯৬৭ সালে দাখিল জামাত উত্তীর্ণের পর সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়। আলিম, ফাজিল ও কামিল জামাত সৎপুর মাদরাসা থেকে সম্পন্ন করি। আমার সহপাঠীগণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- মাওলানা মো. রইছ উদ্দিন হামজাপুরী (প্রাক্তন শায়খুল হাদীস, সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসা), মাওলানা মো. ইমাদ উদ্দিন (ওরফে সাজিদুর রহমান), মাওলানা মো. তৈয়্যিবুর রহমান (প্রাক্তন অধ্যক্ষ, বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা) মাওলানা মো. মাশুক আহমদ (প্রাক্তন অধ্যক্ষ, ইছামতি দারুল উলুম কামিল মাদরাসা), মাওলানা মো. শফিকুর রহমান (প্রাক্তন সুপার, থানাবাজার দাখিল মাদরাসা, জকিগঞ্জ), মাওলানা মো. আব্দুশ শহীদ ঘোরী (প্রাক্তন সুপার,  দিনারপুর আইনগাঁও দাখিল মাদরাসা, নবীগঞ্জ), মাওলানা মো. আব্দুল আলি (প্রাক্তন ইমাম ও খতিব, শাহজালাল জামে মসজিদ, ওয়ালসল, ইউকে), মাওলানা মো. আব্দুল মালিক (প্রাক্তন আরবি প্রভাষক, ফতেহপুর কামিল মাদরাসা, সিলেট),  মাওলানা মো. হুছাইন আহমদ, মাওলানা মো. হবিবুর রহমান, মাওলানা মো. নূরুল ইসলাম ও মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ (নেত্রকোনা) প্রমূখ।

সৎপুর দারুল হাদীস কামিল মাদরাসায় পাওয়া পরম শ্রদ্ধাভাজন উস্তাযমণ্ডলীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রহ.), হযরত মাওলানা মুফতি মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী দুবাগী হুজুর, হযরত মাওলানা মো. হবিবুর রহমান রারাই'র মুহাদ্দিস ছাহেব, হযরত মাওলানা আব্দুল জব্বার গুটারগ্রামী মুহাদ্দিস ছাহেব, হযরত মাওলানা মো. মোতাহির আলী বাল্লাহ'র মুহাদ্দিস ছাহেব, হযরত মাওলানা মো. ফজলুল করীম টাংগাইলের হুযূর, হযরত মাওলানা খলিলুর রহমান রারাই'র হুজুর, হযরত মাওলানা মুফতি মো. হারিছ উদ্দিন আটগ্রামী হুজুর, হযরত মাওলানা ইরশাদ হোসেন গুয়াহুরির হুজুর এবং হযরত মাওলানা মো. আব্দুছ ছালাম তেলিকোনা'র হুজুর।

১৯৭৩ সালে প্রথম বিভাগে কামিল পাশের ঘটনায় আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী দুবাগী (রহ.) হুজুরের অবদান বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। সে বছর মাদরাসার কামিল জামাতের ফলাফলের ইতিহাসে সর্বপ্রথম তিনটি 'প্রথম বিভাগ' এসেছিল। এর একটি আমার সৌভাগ্যে ঘটেছিল এবং বাকি দু’জন হলেন মাওলানা মো. রইছ উদ্দিন হামযাপুরী (রহ.) ও মাওলানা ইমাদ উদ্দিন ওরফে সাজিদুর রহমান (রহ.) (ছাতক থানার ধারণ নিবাসী)। এছাড়া সিলেট বিভাগের মধ্যে সিলেট সরকারী আলিয়া মাদরাসায় ১টি এবং গাছবাড়ী কামিল মাদরাসায় ১টি প্রথম বিভাগ এসেছিল। তখন কামিলে প্রথম বিভাগে পাশ করা বেশ সম্মানের বিষয় ছিল। তাই প্রথম বিভাগ পাওয়ার সংবাদ মশহুর হয়ে গেলো। প্রথম বিভাগ কিভাবে লাভ করা যায় এব্যাপারে আমার কাছে কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতাম, লেখাপড়ায় অধ্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি হস্তলিপি সুন্দর করতে হবে। তখনই উদাহরণ টেনে আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী দুবাগী (রহ.) হুজুরের নাম বলতাম।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

উল্লেখ্য যে, আমি যখন প্রাথমিক শিক্ষা শেষে কওমি মাদরাসায় কয়েকবছর লেখাপড়া করি তখন আরবী, উর্দু ও ফারসি হস্তাক্ষর বেশ চমৎকার হয়ে উঠে। অতঃপর যখন সৎপুর মাদরাসায় আসি তখন দেখতে পাই অসংখ্য তালাবা দুবাগী হুজুরের খেদমতে ভীড় করেন। কারণ, দুবাগী হুজুরের আরবী, উর্দু ও ফারসি ভাষায় যেমন পারদর্শীতা ছিল ঠিক অনুরূপ উক্ত ভাষার হস্তাক্ষরও ছিল অত্যন্ত সুন্দর। তাই ছাত্রবৃন্দ সবসময় হুজুরের খেদমতে খাতা কলম নিয়ে হাজির হতেন। হুজুর সবার খাতার শীর্ষে একটি করে লাইন লিখে দিতেন আর ছাত্রবৃন্দ তাঁর লেখার অনুসরণে পুরো এক পৃষ্ঠা লিখতেন। আমিও হুজুরের খেদমতে হাজির হই। হুজুর আমাকে দেখে স্বভাবসুলভ মুচকি হেসে বলেন, আপনার হস্তাক্ষর বেশ সুন্দর। চেষ্টা করলে ইনশাআল্লাহ আরও সুন্দর হবে এবং পরীক্ষার ফলাফলে কাজে লাগবে।

আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী দুবাগী হুজুরের অসংখ্য অবদানের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য এই হস্তাক্ষর সুন্দর করার অবদানটি তখনকার সময়ের অসংখ্য আলিম-ওলামার জীবনে রয়েছে। আমার ও মাওলানা হামজাপুরী এবং মাওলানা ইমাদ উদ্দিনের 'কামিলে প্রথম বিভাগ' পাওয়ার পেছনে দুবাগী হুজুরের হস্তাক্ষর অনুসরণ করে আমাদের হস্তাক্ষর আরও সুন্দর করার বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। এছাড়া উঁচু দরজার এ আল্লাহর ওলীর নেক দোয়া এবং ফয়েজ লাভ করার ব্যাপারটি-তো অবশ্যই ছিল।

হযরত দুবাগী হুজুর (রহ.) আলিম জামাতে আরবী সাহিত্যের ক্লাস নিতেন। তিনি যখন দারস দিতে শুরু করতেন তখন মনে হতো যেন একজন খাঁটি আরবী ভাষার অধ্যাপক। প্রতিটি শব্দের নাহু-ছরফের কায়দাসহ চুল-চেরা বিশ্লেষণ করে পাঠ দান করতেন। কামিল জমাতে হুজুরের কাছে আল ইতকান ফী উলুমিল কুরআন সহ অন্নান্য কিতাবাদি পড়েছি।

যখন যে বিষয়ে দারস দিতেন তখন মনে হতো সেই বিষয়েই তিনি বেশী পারদর্শী। আমার এখনো স্মরণ আছে, ক্লাসে হুজুর যখন কিছু বলে ডান হাত একটু তুলতেন তখন মধ্যমা আঙুলে থাকা রূপার আংটি চকচক করতো। পরিপাটি পোশাকপরিচ্ছদ, পরিপুষ্ট দেহসৌষ্ঠব, নূরানি চেহারা ইত্যাদিতে দুবাগী হুজুরকে একজন খান্দানী পরিবারের সন্তান বা বাদশার মতো লাগতো। তাঁর বাগ্মিতা, উচ্চারণ-ভঙ্গি, ধ্বনির মাধুর্যতা, প্রকাশের কৌশল ও তীক্ষ্ণ দূরদর্শিতা ইত্যাদি গুণাবলির বর্ণনা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তিনি সময়কে অপচয় করতেন না। দারসের বাইরে অবসর হলেই কিতাব মুতাআলা করতেন, যেন তিনি কিতাবের এক পোকা। আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী দুবাগী হুজুর (রহ.) যেন ইলমের সাগর ছিলেন। যেকোনো মাসআলা-মাসায়িল এবং জটিল বিষয়ে তাঁর দারস্থ হলে সহজে সমাধান পাওয়া যেতো। তাই 'মুফতি ছাহেব' হিসেবে তাঁর সুনাম-খ্যাতি তখন সবদিকে ছড়িয়ে যায়। 

হযরত আল্লামা মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী দুবাগী ছাহেব (রহ.) স্থায়ী বসবাসের জন্য বৃটেন চলে গেলে তাঁর সাথে আর দেখা হয়নি। তবে অনেকের কাছে জানতে পেরেছিলাম, হুজুর সে দেশে দ্বীনি খেদমত আরও তেজস্বীভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। আর বাংলাদেশে হুজুরের যেসমস্ত শাগরেদ ছিলেন প্রায় সবাই বেশ দামী-গুণী আলেম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। এক্ষেত্রেও হুজুরের বিশেষ দোয়া সবার সাথে ছিল বলে আমার বিশ্বাস। কেননা, শাগরিদগণ উস্তাযের রুহানি সন্তান। রুহানি এবং জিসমানি নেক সন্তানগণ শ্রেষ্ঠ ছদগায়ে জারিয়াহ হয়ে থাকেন। আজ হুজুর আমাদের মাঝে নেই। হুজুরের ইন্তেকাল সংবাদ শুনে অসংখ্য স্মৃতি সাথে সাথে স্মরণ হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা, হুজুরের সব ধরণের খিদমত কিয়ামত পর্যন্ত তরক্কির সাথে দায়িম ও কায়িম রাখুন এবং হুজুরকে যেন জান্নাতের আ'লা মাকাম দান করেন। আর মহান আল্লাহ তাআলা যেন আমাদেরকে তাঁর রুহানি ফয়েজ প্রদান করেন। সবার জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় আমাদের দুবাগী হুজুর (রহ.)-এর আওলাদগণকে সবার জন্য মুকতাদা মানুষ হিসেবে আল্লাহ পাক কবুল করুন, তাদের দ্বারা হুজুরের খিদমতগুলো আঞ্জাম দেয়ার তাওফিক রাব্বে কারীম দান করুন, এই কামনা করি। আ-মীন।

লেখক: মাওলানা মো. আব্দুল মজিদ

প্রাক্তন শায়খুল হাদীস- বুরাইয়া কামিল মাদরাসা এবং ইছামতি দারুল উলূম কামিল মাদরাসা।

প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ- মাথিউরা সিনিয়র ফাযিল মাদরাসা;

প্রাক্তন আরবি প্রভাষক- সিংচাপইড় ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা, সিলেট।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বপ্ন শিক্ষক হওয়ার: দারিদ্র্য আর প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে মনার লড়াই

স্বপ্ন শিক্ষক হওয়ার: দারিদ্র্য আর প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে মনার লড়াই

ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১০ বছরের প্রতিরক্ষা কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর

ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১০ বছরের প্রতিরক্ষা কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর

আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে পারবে না: হাসনাত আবদুল্লাহ

আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে পারবে না: হাসনাত আবদুল্লাহ

ভূরুঙ্গামারীতে সন্দেহভাজন চার নারীকে পুলিশে সোপর্দ

ভূরুঙ্গামারীতে সন্দেহভাজন চার নারীকে পুলিশে সোপর্দ

‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ২৬১ আসামিকে পলাতক ঘোষণা

‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ২৬১ আসামিকে পলাতক ঘোষণা

সর্বশেষ সংবাদ

৭ নভেম্বর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যের ডাক তারেক রহমানের

৭ নভেম্বর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যের ডাক তারেক রহমানের

রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫

রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫

সিসি ক্যামেরা কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুতে ইসির নির্দেশ

সিসি ক্যামেরা কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুতে ইসির নির্দেশ

পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত, শেয়ার মূল্য শূন্য

পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত, শেয়ার মূল্য শূন্য

গণভোট দাবিতে পল্টনে হাজারো মানুষের শান্তিপূর্ণ জাগরণ

গণভোট দাবিতে পল্টনে হাজারো মানুষের শান্তিপূর্ণ জাগরণ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

জুমার দিন: সপ্তাহের ঈদ ও ইবাদতের সর্বোত্তম মুহূর্ত

জুমার দিন: সপ্তাহের ঈদ ও ইবাদতের সর্বোত্তম মুহূর্ত

ইসলামে সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে জুমার দিনকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে। এ দিনকে বলা হয় সপ্তাহের ঈদ। পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিসে জুমার দিনের বিশেষ ফজিলত, সম্মান, দোয়া কবুলের মুহূর্ত এবং ইবাদতের তাৎপর্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। জুমার দিন মুসলমানদের জন্য শুধু জামাতের নামাজ আদায়ের সময় নয়; বরং এটি আত্মার পরিশুদ্ধি, তাকওয়া অর্জন, সামাজিক বন্ধন দৃঢ়করণ এবং আল্লাহর

ব্যবসায় সততা মুসলমানের পরিচয়

ব্যবসায় সততা মুসলমানের পরিচয়

বর্তমান দুনিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য মানুষের জীবনে অপরিহার্য। প্রতিদিনই বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ছে, লাভের লোভ মানুষকে নানা ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইসলাম ব্যবসায় সততা ও ন্যায়পরায়ণতাকে ঈমানের অংশ হিসেবে দেখেছে। একজন মুসলমান শুধু নামাজে নয়, লেনদেনের ক্ষেত্রেও আল্লাহভীতি ধারণ করে চলবে—এটাই প্রকৃত ধর্মীয়তা। কুরআনে আল্লাহ বলেন, মাপে ও ওজনে কম দিও না (সূরা হুদ, আয়াত ৮৪)। এই আয়াত আমাদের সততার মূল শিক্ষা দেয়।

সংকটের সময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখার শিক্ষা

সংকটের সময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখার শিক্ষা

জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মানুষ নানা রকম বিপদ, দুঃখ ও অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়। কারো জীবনে আসে আর্থিক কষ্ট, কারো জীবনে আসে শারীরিক অসুস্থতা বা পারিবারিক সংকট। এসব অবস্থায় মানুষ প্রায়ই হতাশ হয়ে পড়ে। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে একজন মুমিনের উচিত প্রতিটি বিপদের সময় আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখা। আল্লাহ বলেন, “যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।” (সূরা আত-তালাক: ৩)।

দুনিয়ার ব্যস্ততায় নামাজ ভুলে যাওয়া মুসলমানের ক্ষতি কত বড়

দুনিয়ার ব্যস্ততায় নামাজ ভুলে যাওয়া মুসলমানের ক্ষতি কত বড়

আজকের দুনিয়ায় মানুষ সময়ের পেছনে ছুটছে। কাজ, ব্যবসা, মোবাইল, সামাজিক যোগাযোগ—সবকিছুই আমাদের জীবনকে এমনভাবে ব্যস্ত করে ফেলেছে যে নামাজের সময় এলে অনেকেই বলে, ‘একটু পর পড়ব’। কিন্তু এই ‘একটু পর’-এর মধ্যেই মানুষ ভুলে যায়, হারিয়ে ফেলে আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের সেই বরকতময় সম্পর্ক। ইসলামে নামাজকে শুধু একটি ফরজ কাজ নয়, বরং জীবনযাত্রার মূল কেন্দ্র হিসেবে দেখা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই

ধৈর্য ও আল্লাহর উপর ভরসাই মুমিনের শক্তি

ধৈর্য ও আল্লাহর উপর ভরসাই মুমিনের শক্তি

জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই মানুষ নানা সংকট, দুঃখ-কষ্ট ও পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। কখনও তা অর্থনৈতিক, কখনও পারিবারিক, আবার কখনও মানসিক। এসব অবস্থায় একজন মুমিনের উচিত নিজের ধৈর্য ধরে আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখা। কুরআনে আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।” (সূরা আল-বাকারা: ১৫৩) এ আয়াতই প্রমাণ করে যে কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্যই মুমিনের প্রকৃত অস্ত্র। মানুষ সাধারণত বিপদের সময় উদ্বিগ্ন ও হতাশ