জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার জামিনাবেদন খারিজ হওয়ার পর দলের পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক শুরু করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, সিনিয়র নেতা ও আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার পর বৈঠকটি শুরু হয়।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মঈন খান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান চৌধুরী টুকুসহ সিনিয়র নেতার উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া বৈঠকে বেগম জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনও রয়েছেন।
বৈঠকে লন্ডন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে দলটির পক্ষ থেকে বেগম জিয়ার জামিন খারিজের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন দলের মহাসচিব। এছাড়া বৈঠকে জামিন খারিজের প্রতিবাদে কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ আবেদনের শুনানি চলে। এ মামলায় জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ ও জামিন আবেদনের পক্ষে শুধুমাত্র ৩০ জন করে আইনজীবী আপিল বিভাগে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।