জাহিদকে বহিষ্কার করল বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ২৮শে এপ্রিল ২০১৯ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
জাহিদকে বহিষ্কার করল বিএনপি

দলীয় সিদ্ধান্ত ও নেতাদের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার দুইদিনের মাথায় বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়েছেন জাহিদুর রহমান জাহিদ। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে জাহিদকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকেই প্রার্থী হয়ে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাহিদ। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসন থেকে নির্বাচিত হন জাহিদ।

এবারের নির্বাচনে জাহিদ ছাড়া বিএনপি থেকে নির্বাচিত হওয়া বগুড়া-৪ আসনের মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশিদ এখনও শপথ নেননি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী ৩০০ প্রার্থীর মধ্যে জাহিদকে নিয়ে মোট ২৯৫ জন এ পর্যন্ত শপথ নিয়েছেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে এবারের সংসদ নির্বাচনে লড়ে বিজয়ী হওয়া আটজনের মধ্যে গণফোরামের দুই নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আগেই শপথ গ্রহণ করেন। গত ৭ মার্চ শপথ নেন ধানের শীষ প্রতীকে মৌলভীবাজার-২ আসনে নির্বাচিত গণফোরাম নেতা সুলতান মনসুর। তিনি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শপথ গ্রহণের দিনই গণফোরাম তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে।

সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে নির্বাচিত হওয়া মোকাব্বির খান শপথ নেন ২ এপ্রিল। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের রোববার অথবা সোমবারের মধ্যে শপথ নেওয়ার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংসদের প্রথম বৈঠকের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে শপথ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে সদস্যপদ বাতিল করে আসন শুন্য ঘোষণা করা হবে। একাদশ সংসদের প্রথম বৈঠক বসে এ বছরের ৩০ জানুয়ারি। এই হিসাবে ২৯ এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণ করতে হবে।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জাহিদের শপথ নেওয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেন দলটির শীর্ষ নেতারা। অন্যান্যদের শপথ না নিতে যোগাযোগ করতে থাকেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিত কথা বলছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিএনপি থেকে নির্বাচিতদের দলের সিদ্ধান্ত মানার জন্য বলা হচ্ছে। তবে জাহিদ ছাড়া বাকি এমপিরা নিশ্চিত করে কোন সিদ্ধান্ত জানাননি বলে জানা গেছে। দলের কঠোর অবস্থানের পরও তারা বিভিন্ন ফোরামে শপথ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরছেন।

ইনিউজ ৭১/এম.আর