রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর ফটকে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম এক সমাবেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি কারও ইঙ্গিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে গড়িমসি করে, তাহলে জনগণ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের বাধ্য করবে।
ফয়জুল করিম বলেন, “সরকার যদি ঐকমত্য কমিশনে সিদ্ধান্ত নিতে না পারে, তাহলে জনগণের গণভোট বা রেফারেন্ডামের মাধ্যমে পিআর পদ্ধতি নির্বাচন নিশ্চিত করা উচিত। জনগণ পিআর সিস্টেমের পক্ষে থাকলে আমরা তা দাবি করব, আর না থাকলে দাবির কোনো অবকাশ থাকবে না।”
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচনের জন্য নয়, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন তিনটি বিষয়ে কাজ করার জন্য ক্ষমতায় বসেছে। “যদি শুধু নির্বাচন দেয়ার জন্য সরকার ক্ষমতায় থাকে, তবে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যদি সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচার না করে নির্বাচন আয়োজন করে, তাহলে আমি মনে করব সরকার নিরপেক্ষ নয় এবং কোনো এক দলের দিকে ঝুঁকেছে।”
শায়েখে চরমোনাই মনে করিয়ে দেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবির কথা জানিয়েছে। তিনি বলেন, “বর্তমান জরিপেও দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ জনগণ পিআর সিস্টেমের পক্ষে। তাই এই নির্বাচন পদ্ধতি জনগণের স্বার্থে।”
তিনি সতর্ক করেন, পিআরের কিছু “সাইড এফেক্ট” থাকলেও মোটামুটি এটি জনগণের জন্য ভালো। তিনি বলেন, “যদি পিআরের ৯৮ শতাংশই ভালো হয়, আর কেবল ২ শতাংশ খারাপ হয়, তবে প্রশ্ন করা উচিত কেন পিআরের বিপক্ষে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।”
ফয়জুল করিম আরও উল্লেখ করেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচিত হলে সব দল ও আদর্শের মানুষ সংসদে পৌঁছাবে এবং জাতীয় সরকারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, বিএনপির বক্তব্য অনুযায়ী, পিআর পদ্ধতি নির্বাচনে তাদের সুবিধা থাকবে এবং ঝামেলামুক্ত সরকার গঠনের পথ সুগম হবে।