প্রকাশ: ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৮:২৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
রাজধানীর শাহবাগে ছাত্রদলের সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন চার কোটি ভোটারদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন, দেশের তারুণ্যের প্রথম ভোট যেন ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের পক্ষে হয়। রোববার (৩ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে তিনি উপস্থিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে এই বার্তাটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
তারেক রহমান বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের হারানো ভোটের অধিকার ফিরে এসেছে, যা দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তরুণ প্রজন্ম এবং নতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজকের প্রতিজ্ঞা হোক তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক’।
বিএনপির এই নেতা আশা প্রকাশ করেন, নতুন ভোটাররা তাদের শক্তি দিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন এবং পরিবর্তনের সোপানে এগিয়ে আসবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলব এবং যা যা প্রয়োজন তা গ্রহণ করব’।
তারেক রহমান বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে পড়ার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ক্ষমতা ফিরে পেলে বিএনপি শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মনোযোগ দেবে। পাশাপাশি ই-কমার্স, আইসিটি ও কারিগরি শিক্ষায় জোর দেয়া হবে। শিক্ষার সঙ্গে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক দিকগুলোকে একীভূত করার পরিকল্পনাও আছে।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি সাহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান এবং আশ্বস্ত করেন যে জনগণ তাদের পাশে থাকবে। তার বক্তব্যে ছিল দেশের গণতন্ত্র পুনর্নির্মাণ এবং তরুণদের নেতৃত্বে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যাশা।
সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের বক্তব্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি, ছাত্রদলের ভূমিকা ও দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এই সমাবেশকে ঘিরে পুরো শাহবাগ এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা যায়, যেখানে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একাত্মতা ও ঐক্যের বার্তা দিয়ে তাদের প্রার্থনা জানান দেশের পরিবর্তনের জন্য।
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি তরুণ ভোটারদের সুরক্ষা ও তাদের ভোটাধিকার রক্ষায় আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এই নির্বাচনে শিক্ষার্থী ও তরুণরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
বিএনপি’র তরুণ নেতৃত্বের এই উদ্যোগ নতুন প্রজন্মের জন্য রাজনৈতিক সচেতনতা ও অংশগ্রহণের ক্ষেত্র প্রসারের দিক নির্দেশ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।