প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৫, ১৭:৪১
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে বোঝা যাবে বিএনপি এখনো জনগণের হৃদয়ে কতটা জনপ্রিয়। তিনি বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে এবং সেই কবর থেকে গণতন্ত্রকে পুনরুত্থান ঘটাতে বিএনপি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
রিজভী বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। জনগণের ভোটাধিকার হরণ, বিরোধী মত দমন এবং একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই সরকার পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণ বিএনপিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে দেখছে, যারা সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, কিন্তু সেই ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে বিএনপি বারবার রাস্তায় নেমেছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বিএনপি প্রমাণ করেছে, তারা জনগণের পক্ষেই দাঁড়িয়েছে এবং কোনো চাপের মুখেই তারা মাথা নত করেনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে— যখনই দেশে গণতন্ত্রের উপর আঘাত এসেছে, তখনই বিএনপি এবং বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিয়েছেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে। তিনি সব সময় রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
রিজভী তার বক্তব্যে দলের ভেতরকার শৃঙ্খলার বিষয়েও কড়া অবস্থান জানান। তিনি বলেন, দল কোনো অপরাধ বা অনৈতিক কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। কেউ যদি এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকজন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। তাই যারাই দলের আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে, তাদের কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন জনতার অধিকার আদায়ের আন্দোলন। এই আন্দোলন একদিন সফল হবেই এবং জনগণের সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে রিজভী জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্ধকার কেটে ভোর আসবেই, সেই প্রত্যাশায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।