প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৫, ১৭:৫
ঠাকুরগাঁও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির উদ্বোধনী বক্তব্যে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সীমান্তে গুলি ও হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তিনি ঘোষণা করেন, যে কোনো মূল্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং এই দাবিকে ঘিরেই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে।
শুক্রবার দুপুরে আয়োজিত এই পদযাত্রার শুরুতেই নাহিদ ইসলাম বলেন, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। তিনি ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বাংলাদেশিদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যার অভিযোগ তোলেন এবং জানান, একের পর এক অবৈধভাবে ‘পুশইন’ চালানো হচ্ছে, যা কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র মেনে নিতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, শুধু ঠাকুরগাঁও নয়, দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় একই ধরনের ঘটনা ঘটছে এবং জনগণ ক্ষুব্ধ। তাই এনসিপি জুলাই ও আগস্ট মাসজুড়ে এই অবিচারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
নাহিদ ইসলাম তার বক্তব্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমরা নতুন দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছি। সংস্কার, বিচার এবং নতুন সংবিধানের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনই আমাদের লক্ষ্য।”
এ সময় তিনি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “আওয়ামী লীগ জনগণের ভাষা বোঝে না, তারা কেবল দমননীতি জানে। তবে আগামী প্রজন্ম আওয়ামী লীগকে আর চিনবেই না। ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তকে তারা শুধু অপশাসনের উদাহরণ হিসেবেই থাকবে।”
পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনীম যারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা সবাই বক্তব্যে সীমান্ত হত্যা ও পুশইন বন্ধের দাবিতে একজোট হন।
নেতারা বলেন, একুশ শতকের বাংলাদেশে এমন বর্বরতা চলতে পারে না। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাইলেও স্বাধীনতা ও সম্মান বিসর্জন দিয়ে নয়।
পদযাত্রা শেষে নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন এবং সাধারণ মানুষকে সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।