প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১৮:৫৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকাল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব সামনে এসেছে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জানিয়েছেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর রাখার প্রস্তাবে বড় সংখ্যক দল একমত পোষণ করেছে। তবে তিনটি দল এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করছে।
আলোচনার সময় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে পূর্বে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছিল দুই মেয়াদে সীমাবদ্ধ রাখা। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারবেন। তবে ‘মেয়াদ’ বলতে পূর্ণ পাঁচ বছর বা সংসদের স্থায়ীত্বের সময়কে বোঝানো হয়েছে। তবে এবার প্রস্তাব এসেছে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। এটি বছরের হিসেবে সীমাবদ্ধতা আরোপ করবে।
সাকি জানান, এই নতুন প্রস্তাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনুমোদন করেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে আলোচনা করেছে। অধিকাংশ দল এতে একমত হলেও বিএনপি, বিএলডিপি এবং এনডিএম এই সীমাবদ্ধতায় একমত নয়। অন্যদিকে অন্যান্য দলসমূহ প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে।
তার পাশাপাশি সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব, সরাসরি নির্বাচন, সাংবিধানিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া, সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব, দুই কক্ষের ভারসাম্য, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় মিল-অমিল রয়েছে। এসব বিষয়ে আরও আলোচনা ও সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, এই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো একটি শক্তিশালী ঐক্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী বুধবার পুনরায় আলোচনার মাধ্যমে নানা দিক সমাধানে কাজ করা হবে। এই ঐক্যই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন এবং শাসনব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করার বিষয়টি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ক্ষমতার ভারসাম্যের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এই প্রস্তাব নিয়ে পারস্পরিক মতপার্থক্য দূর করতে আরও আলোচনা ও সমঝোতা প্রয়োজন বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো।