প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ১৭:২৪
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে জনগণের যে সম্পদ লুট করেছে তা বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা উচিত। রোববার দুপুরে পুরানা পল্টনের গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি এখন একটি ষড়যন্ত্রকারী শক্তিতে পরিণত হয়েছে। দলটি সীমান্তপারের সন্ত্রাসী শক্তির সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নুর আওয়ামী লীগকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করা হলে দেশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে। তিনি মনে করেন, দলটির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
নুর বলেন, গত ৫ আগস্ট বিরোধী জোটের একটি সমাবেশের পর থেকে প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ এই সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের মাত্র ৩২ জন নেতাকর্মীও গ্রেফতার হয়নি। এটি সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণকে প্রমাণ করে।
তিনি আরও বলেন, গত নয় মাসে আওয়ামী লীগ প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। এটি কোনো রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং একটি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি শাহবাগ, প্রেস ক্লাব ও পল্টনে বিভিন্ন দল আন্দোলন চালিয়ে গেছে। গণঅধিকার পরিষদও যমুনা ঘেরাও কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত এবং তরুণদের মতামত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন।
এই আশ্বাস পেয়ে দলটি আপাতত কর্মসূচি স্থগিত করেছে বলে জানান নুরুল হক নুর। তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আন্দোলনের পথেই থাকবেন তারা। দেশের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আহ্বানও জানান তিনি।