প্রকাশ: ৯ মে ২০২৫, ১২:৭
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি কতটা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, সেটি বোঝা যাবে আজ শুক্রবারের বড় সমাবেশ থেকে—এমনটাই দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। সকাল সাড়ে আটটার দিকে যমুনার সামনে চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
হাসনাত জানান, যমুনার ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণ চলছে এবং বাদ জুমার পর সেই এলাকাটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে। তিনি বলেন, আজকের সমাবেশে উপস্থিতির মাধ্যমেই দেশবাসী বুঝতে পারবে কারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ দেখতে চায়।
সকল দলমত নির্বিশেষে জনগণকে এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে এর নিবন্ধন বাতিল করে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে এনসিপি।
সমাবেশস্থল সম্পর্কে তিনি জানান, ফোয়ারার সামনের রাস্তাটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল থেকে শুরু করে বাংলামোটর পর্যন্ত জনতার উপস্থিতিতে ভরে যাবে। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আন্দাজ করা যাচ্ছে আজকের জুমার পর রাজধানীর কেন্দ্রীয় অংশে ব্যাপক জমায়েত হতে যাচ্ছে।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, জুমার নামাজের পর ছাত্র ও তরুণ জনতা অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আওয়াজ তুলবে। তিনি বলেন, আজই ফয়সালা হবে কারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আর কারা নীরব দর্শক।
আন্দোলনকে জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সারাদেশের মানুষকে ২০১৩ সালের ‘জুলাই আন্দোলন’-এর মতো পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত। তিনি তার ফেসবুক পেজেও বাদ জুমা অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি লেখেন, আওয়ামী লীগের গণবিরোধী শাসনের অবসান ঘটাতে যমুনার সামনের অবস্থান কর্মসূচি চলবে এবং দেশের প্রতিটি বিবেকবান নাগরিকের উচিত এতে যুক্ত হওয়া।
প্রসঙ্গত, আবদুল হামিদের দেশত্যাগের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকেই যমুনার সামনে বিক্ষোভ চলছে, যা আজকের সমাবেশে গিয়ে চূড়ান্ত রূপ পাবে বলেই ধারণা।